হাসান আলীর ঘূর্ণিতে লাহোরে বাংলাদেশের লজ্জাজনক হার

New-Project-4-14.jpg

হাসান আলীর ঘূর্ণিতে লাহোরে বাংলাদেশের লজ্জাজনক হার

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

পাকিস্তান সফরের শুরুটা হতাশার হলো বাংলাদেশের জন্য। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৩৭ রানে হেরে গেছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ২০১ রান, জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। এক বছর পর দলে ফিরে হাসান আলী ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন, ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন শাদাব খান।

পাকিস্তানের ইনিংস

ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের বোলাররা চমক দেখান। মাত্র ৫ রানে পাকিস্তান হারায় দুই ওপেনার সাইম আয়ুব ও ফখর জামানকে। মেহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলাম উইকেট দুটি শিকার করেন। শরিফুল এই ম্যাচে তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৫০তম উইকেটও তুলে নেন।

এরপর মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলি আগা পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যান। হারিস করেন ১৮ বলে ৩১ রান। এরপর ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন অধিনায়ক সালমান ও তরুণ হাসান নাওয়াজ। সালমান খেলেন ৩৪ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং হাসান নাওয়াজ ২২ বলে করেন ৪৪ রান।

শেষদিকে শাদাব খান ও ফাহিম আশরাফের ব্যাটে রান বাড়ায় পাকিস্তান। শাদাব ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন এবং শেষ ৩ ওভারে পাকিস্তান তোলে ৪৩ রান।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, শামীম পাটোয়ারী ও হাসান মাহমুদ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন। শামীম টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেটটি নেন খুশদিল শাহকে আউট করে।

বাংলাদেশের ইনিংস

২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। হাসান আলীর প্রথম স্পেলে ফিরিয়ে দেন পারভেজ ইমনকে। এরপর তানজিদ হাসান পাওয়ার প্লেতে কিছুটা ঝলক দেখালেও ৩১ রান করে হাসানের বলে বোল্ড হন।

লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় মিলে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। তবে হৃদয়ের ২২ বলের ইনিংসে মাত্র ১৭ রান আসে। লিটন কিছুটা লড়াই করে ৩০ বলে ৪৮ রান করলেও শাদাব খানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।

এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। জাকের আলি অনিক করেন ২১ বলে ৩৬ রান, কিন্তু হাসান আলীর দ্বিতীয় স্পেলে তিনিও ফিরে যান। শেষদিকে রিশাদ, তানজিম ও শরিফুল দ্রুত আউট হলে ৪ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা।

পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ভেঙে দেন। এই ম্যাচেই এক বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে ক্যারিয়ারসেরা ৫/৩০ বোলিং ফিগার তুলে নেন তিনি। শাদাব খান নেন ২ উইকেট, সঙ্গে দেন ব্যাট হাতে অবদানও।

সিরিজের প্রেক্ষাপট

এই সিরিজটি মূলত ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল। সেই সিরিজে পারভেজ ইমন প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন, যা বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।

পরবর্তী ম্যাচ

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ মে, একই ভেন্যুতে। দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ মে এবং সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন। এই সিরিজের সব ম্যাচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Leave a Reply

scroll to top