সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে এটি তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদের নেত্বতে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বিএনপি দলীয় সূত্রমতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রবর্তন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনাসহ সংবিধানের একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলটির ঘোষিত ৩১ দফার ভিত্তিতে এসব প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। সোমবার এসব প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার কমিশনে দেওয়ার কথা থাকলেও তা এক দিন পিছিয়ে আজ দেওয়া হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রস্তাবনায় ব্যালেন্স অব পাওয়ারের কথা বলা হয়েছে। সংস্কার কমিটি সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারকে দেবে। তারপর নির্বাচিত সরকার এসে এসব সংশোধন করবে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সমস্ত জায়গা আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি যাতে করে রাষ্ট্রের ভারসাম্য সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রস্তাবনার মূল অংশে রাজনৈতিক ক্যারেক্টার পরিবর্তন করার বিষয়ে প্রস্তাবনা করেছি। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই আগস্টের যে শহিদের রক্তের অঙ্গীকার তার চেতনাকে মাথায় রেখে ভবিষ্যতে যাতে একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি না হয় সেগুলো মাথায় রেখে আমরা প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছি।
কমিশন প্রধান আলী রিয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহে সারাদেশে জরিপ করা হবে। গ্রাম থেকে শহর, তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলের মতামত নেয়া হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন জানায়, তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার সাধারণ মানুষ তাদের প্রস্তাব ও মতামত দিয়েছে। এছাড়া ২৮টি সংগঠন, ২৩ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ৫ জন সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ১০ জন তরুণ চিন্তাবিদের সঙ্গে মত বিনিময় ও আলোচনা করেছে কমিশন। কমিশন এখন সবার মতামতগুলো যাচাই বাছাই বা বিশ্লেষণ করছে।