ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমসমাজ সামাজিক শক্তির প্রতিভূ। তাদের সাথে জনসম্পৃক্ততা ও সামাজের প্রগাঢ় বন্ধন রয়েছে।
আজ (শনিবার) দুপুরে খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওলামা মশায়েখদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমাম-খতিবদের মানুষ সম্মান করে। তারা জুমার খুতবা ও ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে মানুষের উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি বিকাশে মেহনত করে যাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে মানুষের চরিত্রের নেতিবাচক দিকগুলো থেকে বিরত রাখার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সমাজে যেসকল ব্যাধি রয়েছে সেগুলো নিরসনেও আলেম-ওলামাদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আলেমসমাজ সামাজিক শক্তির প্রতিভূ। তাদের সাথে জনসম্পৃক্ততা ও সামাজের প্রগাঢ় বন্ধন রয়েছে।
ড. খালিদ বলেন, সরকার অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে অগ্রগতির পথে ধাবিত হচ্ছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতিতে জাতিতে কিংবা ধর্মে ধর্মে যদি হানাহানি হয় তাহলে জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হতে বাধ্য। একারণে সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ওলামা-কেরামদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
ড. খালিদ আরো বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের দেশ। এদেশে নানা জাতি-গোষ্ঠী ও ধর্মের লোক বসবাস করে। এটাই বাংলাদেশের বৈচিত্র। আমাদের সংবিধানেও প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। সরকার সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের এই ঐতিহ্যকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে, এটাকে লালন করে আসছে এবং আগামীদিনেও লালন করে যাবে।তিনি বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত বা কায়েমী স্বার্থবাদী মহল মাঝেমাঝে এই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যকে বিনষ্ট করার পায়তারা চালিয়ে থাকে। এসকল দুর্বৃত্তদেরকে সরকার প্রতিহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।