আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর আজ আদালতে তোলা হয়। এসময় এজলাসে দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ (১৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ নিহতের ঘটনায় নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। পরে শুনানিতে তার জামিন আবেদন বাতিল করে ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
রিমান্ড শুনানিতে পুলিশ জানায়, ১৯ জুলাই নীলক্ষেতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়। সে সময় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার সঙ্গে কামরুল ইসলাম সরাসরি জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা ধানমন্ডিসহ আশপাশের এলাকায় সে সময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তার সরাসরি ইন্ধনে গুলি চালানো হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চান কিছু বলবে কি না। এ সময় কামরুল ইসলাম জানান, যে এলাকার ঘটনা তিনি সেখানকার এমপিও না। শুধু শুধু হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বিচারকের সামনে কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার জুনিয়র আইনজীবীরা আজ আমাকে নিয়ে যা বললেন, এই দিন দিন না আরও দিন আছে’। এ সময় আদালতে চিৎকার করে ওঠেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে কামরুল ইসলামকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।