ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ: দুই পক্ষের দাবি একে অপরের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণের

New-Project-20-2.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ষষ্ঠ দিনে প্রবেশ করেছে এবং পরিস্থিতি ক্রমেই চরমে উঠছে। দু’পক্ষই একে অপরের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করছে, যা সংঘাতকে আরও ভয়াবহ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইরানের এলিট সামরিক শাখার কর্নেল ইমান তাজিক মঙ্গলবার রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বলেছেন, “আমরা এখন দখলদার বাহিনীর আকাশসীমা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছি। সেখানকার নাগরিকরা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে পুরোপুরি অরক্ষিত।” এর আগে, ইসরায়েলও ইরানের আকাশসীমা নিয়ে একই ধরনের দাবি করেছিল।

মঙ্গলবার রাতে ইরান ইসরায়েলের ওপর দুটি ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ হামলাকে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামে অভিহিত করেছে ইরানি সেনাবাহিনী। এ পর্যন্ত এই অভিযানে ইসরায়েলে ৫ শতাধিক মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, যা সংঘাতকে আনুষ্ঠানিক ও সর্বাত্মক রূপ দিয়েছে।

সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে গত ১৩ জুন ভোরে, যখন ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ) তেহরানসহ ইরানের আটটি শহরে একযোগে ১০০টি স্থানে বোমাবর্ষণ করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হামলাকে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ বলে অভিহিত করেন এবং জানান, ইরানকে যতদিন হুমকি মনে করা হবে, ততদিন এই অভিযান চলবে। ওই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৪৫০ জন নিহত হন।

ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে এবং তাদের দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েলের আকাশসীমায় সফলভাবে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আঘাত হানে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে উভয় পক্ষের আকাশসীমাই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আকাশপথে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি এবং টানা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

Leave a Reply

scroll to top