হজ চলাকালীন দৈনিক ১০ লাখ টন পানি সরবরাহ করবে সৌদি

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৪ জুন পবিত্র হজ শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ উপলক্ষ্যে লাখ লাখ হজযাত্রী পৌঁছেছেন সৌদি আরবে, আরও অনেকেই আছেন যাত্রাপথে। মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে এখন ভরপুর গ্রীষ্মকাল চলছে। তীব্র গরমে অস্থীর সময় পার করছেন দেশটিতে বসবাসরত নাগরিক, প্রবাসী ও হাজযাত্রীরা।

সম্প্রতি এক পূর্বাভাসে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হজের সময় দেশটিতে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করবে।

এই পরিস্থিতি হজযাত্রীদের সুবিধার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে হজের দিনগুলোতে যাত্রীদের জন্য প্রতিদিন ১০ লাখ টন পানি সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পানি পরিষেবা দপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, হজের শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা এবং কাবায় অবস্থানকারী মুসল্লিদের জন্য প্রতিদিন ১০ লাখ টন পানি সরবরাহ করা হবে; আর এ কাজে পানি পরিষেবা দপ্তরকে সহযোগিতা করবে সৌদির পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পানি ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মরু আবহাওয়া হওয়া সৌদি আরবে এমন কোনো স্বাদু পানির জলাশয় নেই, যেখানে সারা বছর পানি থাকে। পান করা এবং দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য দেশটিকে নির্ভর করতে হয় সাগরের ওপর। সাগরের লোনা পানি থেকে লবণ দূর করে তা পানযোগ্য করে তোলা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হজযাত্রী ও নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন সাগর থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন পানি সংগ্রহ ও লবণমুক্ত করে সরবরাহ করছে সৌদির সরকার। হজের দিনগুলোতে এই উৎপাদন ও সরবরাহের পরিমাণ ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

সৌদির জন্য অবশ্য ব্যাপারটি খুব কঠিন না হলেও খানিকটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ পানি পরিষেবা দপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ লাখ ২০ হাজার লিটার পানি উৎপাদন ও সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে পরিষেবা দপ্তরের। কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন যে হজের সময় পানির সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে একটি বিশেষ টিম করা হয়েছে। সেই টিমে ২ হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান রয়েছেন। তাছাড়া হজযাত্রীদের জন্য যে পানি সরবরাহ করা হবে, তার মান পরীক্ষা করার দায়িত্বে রয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি ল্যাবরেটরি।

হজযাত্রীদের বিশ্রামের জন্য কাবাসহ অন্য সব ধর্মীয় স্থানের আশেপাশে ৩২ হাজারেরও বেশি বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি বিশ্রামাগারে মিলবে পানি।

ইসলাম ধর্মের ৫টি স্থম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ। এ কারণে প্রতি বছর হজ পালন করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মুসল্লি সৌদিতে আসেন।

Leave a Reply

scroll to top