নোয়াখালীর সুবর্নচরে সাবেক এমপি ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ এজহার নামীয় ৮২ জনসহ অজ্ঞাত ২-৩শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক বিএনপি নেতা।
রবিবার ( ১৬ই ফেব্রুয়ারী ) এ মামলা হয় বলে জানিয়েছেন চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ শাহীন মিয়া । মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর সুবর্ণচর) আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে।
২নং আসামী করা হয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে।
এছাড়াও মামলায় অন্যানের মধ্যে আসামী করা হয়েছে যথাক্রমে চর বাটা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব, মোস্তফা কামাল কাজল, মোস্তফা পারভেজ (সভাপতি, ২নং চরবাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ), হানিফ চৌধুরী (সাধারন সম্পাদক, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ),আলা উদ্দিন, (সাধারন সম্পাদক, চরবাটা ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ) তরিকুল ইসলাম (সাবেক চেয়ারম্যান, চর জব্বার ইউপি), নুর ইসলাম মানিক মেম্বার, উৎপল চন্দ্র মজুমদার, সামছুদ্দিন বাবুল (সাধারন সম্পাদক, ৪নং চর ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ)।
এসময় মামলার বাদী সুবর্ণচর উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাশেদ ইকবাল বাবলু বলেন, গত ২২শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাহাদের দলের মনোনিত প্রার্থী মামলার ১ম আসামীকে অবৈধ ভাবে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সদর সুবর্ণচরে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
এসব সন্ত্রাসী আওয়ামী বাহীনী। ঘটনার দিন তারা নোয়াখালী ৪ আসনের বি.এন.পি মনোনিত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী আলহাজ মোঃ শাহজাহান এর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শেষে নেতা কর্মীরা মামলার ঘটনাস্থল এডভোকেট এ.বি.এম জাকারিয়া সাহেবের বসত বাড়ীতে দুপুরের খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা অবস্থায় এজাহার নামীয় আসামী ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা একরাম এমপির নির্দেশে এবং তারই নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া এলোপাতাড়ী গুলি ছুড়তে ছুড়তে-হাতে অস্ত্র, রামদা, হকিষ্টিক, দা, চেনী ইত্যাদি নিয়া এডভোকেট এ.বি.এম জাকারিয়া সাহেবের বাড়ীতে আক্রমণ করে বি.এন.পির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদেরকে ধাওয়া-দিতে থাকে। আসামীরা এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষন করে বাড়ীর ভিতরে থাকা নেতা কর্মীদের পিটিয়ে,গুলি করে তাড়িয়ে দিয়ে আহত করে তাদের
প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটর সাইকেল চুরি করে লুটপাট করে নিয়ে যায়।