ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবো কিকার্স – ন্যাশনাল সকার বট চ্যাম্পিয়নশিপের মহা উদ্বোধন

New-Project-1.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প ও ক্রিয়েটিভ জুনিয়র্সের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী তরুণ মেধাদের মাঝে প্রযুক্তির প্রতি উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিতে আয়োজিত হলো রোবো কিকার্স – ন্যাশনাল সকার বট চ্যাম্পিয়নশিপ-এর গ্র্যান্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী রোবটিক্স প্রজেক্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করল যে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের তৈরি নানান স্বয়ংক্রিয় রোবট, যেগুলো ফুটবল ম্যাচে অংশ নিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ রোবটগুলোর গোল করার কৌশল, বল নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা এবং দলগত সমন্বয় দেখে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যায়।

এছাড়াও, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টলে প্রদর্শিত হয় নভোচারী রোভার, ড্রোন টেকনোলজি, এবং স্মার্ট অটোমেশন সিস্টেমের মতো উদ্ভাবনী প্রকল্প। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের উৎসাহ ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে একটি রোভার প্রদর্শনী শিশুদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। রোভারটির মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহে অনুসন্ধানী মিশনের সিমুলেশন দেখানো হলে শিশুরা বিজ্ঞান ও মহাকাশ নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠে। এক অভিভাবক বলেন, “আমার মেয়ে আজ ঘরে ফিরে নিজেই একটি রোবট বানানোর পরিকল্পনা করছে! এমন আয়োজন শিশুদের মাঝে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

” উদ্ভাবনী প্রজন্মের স্বপ্ন অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ক্রিয়েটিভ জুনিয়র্সের প্রতিনিধি জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, আজকের এই শিশুরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে ন্যানো-টেকনোলজি থেকে রোবটিক্সে বিশ্বমানে নিয়ে যাবে। তাদের মাঝে প্রযুক্তির প্রতি এই আগ্রহই দেশের জন্য আশার আলো।” ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের ডিন ড. সায়েদা সুলতানা বলেন, “এই চ্যাম্পিয়নশিপ শুধু প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞানকে বাস্তব প্রয়োগে রূপান্তর করতে শিখছে।” একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি রোবো কিকার্স চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে বাংলাদেশের তরুণরা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে পিছিয়ে নেই। শিশুদের মাঝে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা জাগানো, অভিভাবকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং অংশগ্রহণকারীদের দৃঢ় প্রত্যয়—সব মিলিয়ে এই আয়োজন দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে আরও গতিশীল করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

scroll to top