সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১০ বছরের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় আজমির হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলকুচি পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ জানায়, আজ সকালে চালা পতেঙ্গা মসজিদ এলাকার সামনে বনের ভিতর একটা মেয়ের চিৎকারের শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এরপর তারা ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে দেখতে পায় ওই শিশুকে আজমির জোর পূর্ব ধর্ষণের চেষ্টা করছে। এসময় তারা মেয়েটিকে তার কাছে থেকে উদ্ধার করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাইয় দেয়। পরে পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে চালা পতেঙ্গা মসজিদের সামনে যমুনার শাখা নদীর পাশের বনের ভেতর একটা মেয়ের চিৎকারের শব্দ শুনতে পান। শব্দ শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান তারা। সেখানে গিয়ে দেখেন ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়েকে আজমির জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করছে। আমরা মেয়েটিকে তার কাছে থেকে উদ্ধার করি। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, আজমির ইতিপূর্বে ধর্ষণের দায়ে কারাগারে ছিল। সে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগিতায় নানান অপকর্ম করেও পার পেয়ে যায়। এ ঘটনায় তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তারা।
বেলকুচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল বারিক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গণধোলাইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, আমরা আজমির নামের এক যুবককে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা গণধোলাই দিচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবককে উদ্ধার করেছি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় এনেছি। আজমিরের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা রয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।