হজে যাওয়ার আগে যা যা করবেন

things-to-do-before-hajj
মুহাম্মাদ নূরে আলম ধর্ম ডেস্ক

হজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং পঞ্চম স্তম্ভ। হজরত ইবরাহিম (আ.) কাবা ঘর নির্মাণের পর আল্লাহ তাআলা তাঁকে হজের ঘোষণা দিতে নির্দেশ দেন। কোরআনে বলা হয়েছে— “তুমি মানুষের মধ্যে হজের আহ্বান জানাও। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে চড়ে দূর-দূরান্ত থেকে, যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌঁছায় এবং নির্ধারিত দিনে কোরবানির পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে।” ( আল-কুরআন, সূরা হজ, আয়াত: ২৭-২৮)

আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) মাকামে ইবরাহিমে দাঁড়িয়ে উচ্চ কণ্ঠে হজের ঘোষণা দেন। আল্লাহ সেই ঘোষণা দুনিয়ার প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে উম্মতে মুহাম্মাদের ওপর হজ ফরজ করা হয়।

প্রতি বছর ইসলামের এই মহান বিধান পালন করতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মুসলিমরা সৌদি আরবে সমবেত হন। হজে যাওয়ার আগে একজন মুসলিমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

বিশুদ্ধ নিয়ত

যেকোনো ইবাদতের মূল হচ্ছে নিয়ত। নিয়ত বিশুদ্ধ না হলে কোনো আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের জন্যও সততা ও একাগ্রতার সঙ্গে নিয়ত ঠিক করা জরুরি।

গুনাহ থেকে তওবা

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইসলাম গ্রহণ পূর্ববর্তী সব অন্যায় মিটিয়ে দেয়, হিজরত আগের গুনাহ মুছে দেয়, এবং হজও আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১২১)

তাই হজে যাওয়ার আগে অতীতের পাপের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করা উচিত, যেন এই ইবাদতের মাধ্যমে গুনাহমুক্ত হয়ে ফেরা যায়।

মা-বাবার দোয়া ও অনুমতি

হজে যাওয়ার আগে মা-বাবার দোয়া চেয়ে নিতে হবে। যদি মা-বাবা জীবিত থাকেন এবং কেউ অসুস্থ হন, তবে তাদের অনুমতি নিয়েই হজের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা

হজ ফরজ হয় তখনই, যখন কারও নিজের ও পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত সম্পদ থাকে। তাই হজে যাওয়ার আগে নিজের অনুপস্থিতিতে পরিবারের ভরণপোষণের নিশ্চয়তা রাখতে হবে।

ঋণ পরিশোধ

যদি কারও ঋণ থাকে, তবে হজে যাওয়ার আগে তা পরিশোধ করা জরুরি। যদি ঋণ শোধ সম্ভব না হয়, তাহলে পাওনাদারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া উচিত। পাওনাদারের অনুমতি ছাড়া হজে যাওয়া অনুচিত বলে মনে করা হয়। হজে যাওয়ার আগে যা যা করবেন।

Leave a Reply

scroll to top