পাহেলগাম হামলায় জড়িত হাশিম মুসাকে জীবিত চায় নিরাপত্তা বাহিনী, কেন?

New-Project-2-23.jpg

পাহেলগাম হামলায় জড়িত হাশিম মুসার স্কেচ

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ আন্তার্জতিক ডেস্ক

বর্তমান সময়য়ে বিশ্বের আলোচিত-সমালোচিত মূখ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং তার জেরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আবারও উত্তেজনা। সেই হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং একজন কাশ্মীরি পনি রাইড অপারেটরকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলোর খবর পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী তিন সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। তাদের মধ্যে দুজন লস্কর-ই-তৈয়বা প্রধান হাফিজ সঈদ এবং তার সহকারী সাইফুল্লাহ কাসুরি আছেন পাকিস্তানে। কিন্তু তৃতীয়জন হাশিম মুসা জম্মু ও কাশ্মীরে লুকিয়ে আছেন বলে মনে করছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহীনি।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বলছে, হাশিম মুসা দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলে কোথাও লুকিয়ে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে হাশিম পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।

হাশিম মুসা সম্পর্কে যেকোনো তথ্যের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সূত্রের মতে, উদ্দেশ্য হল হাশিম মুসাকে জীবিত গ্রেপ্তার করতে চায় নিরাপত্তাবাহীনি।।

জানা গেছে, হাশিম মুসা পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপে প্যারা-কমান্ডো হিসেবে কাজ করেছেন। পরে সে লস্কর-ই-তৈয়বাতে যোগ দেয় এবং তখন থেকে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার অংশ ছিল। জানা গেছে,  সে ২০২৩ সালে ভারতে প্রবেশ করেছিল।

গত বছরের অক্টোবরে, হাশিম মুসা জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলায় একটি সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল। সেই হামলায় সাতজন নিহত হয়েছিল। এছাড়া কাশ্মিরের বারামুল্লায় একটি হামলায় জড়িত ছিল, যেখানে চারজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, হাশিম মুসা উপত্যকায় কমপক্ষে ছয়টি সন্ত্রাসী হামলার অংশ ছিলেন।

পহেলগাম ট্র্যাজেডির তদন্তে দেখা গেছে, নিরীহদের লক্ষ্য করে করা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মূল অপরাধীদের মধ্যে হাশিম মুসা ছিলেন। জড়িত অন্যদের আদিল থোকার এবং আসিফ শেখ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ তাদের প্রত্যেকের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

পহেলগাম ট্র্যাজেডি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ককে তলানিতে ঠেলে দিয়েছে। স্থগিত হয়েছে নয়াদিল্লি সিন্ধু জল চুক্তি এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা। এছাড়া নিয়মিত দুই দেশের সীমান্তে চলছে গোলাগুলি। চলছে হুমকি-পাল্টা হুমকিও।

Leave a Reply

scroll to top