ইরানে ব্যাপক হামলার চালানোর পর সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী দেশের চারপাশের সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাপ্রধান আইয়াল জামির এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তার সেনাবাহিনী “১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করছে এবং সব সীমান্তজুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাইবে, তাকে বড় মূল্য দিতে হবে।”
সেনাপ্রধান জামির তার বক্তব্যে ইসরায়েলি জনগণকে সম্পূর্ণ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “ইরানি শাসকগোষ্ঠী প্রতিশোধ নিতে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করবে। এ হামলার সম্ভাব্য মূল্য আমাদের আগের অভিজ্ঞতা থেকে আলাদা হবে।”
তিনি আরও জানান, “আমরা এ অভিযানের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নিচ্ছি। বাস্তব ও তাৎক্ষণিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতির জন্য সেনাবাহিনীর সব শাখা ও বিভাগ মিলিয়ে নজিরবিহীন চেষ্টা চালানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইরানজুড়ে পাঁচটি ধাপে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অজ্ঞাতনামা একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা ‘টাইমস অব ইসরায়েল’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, “শত শত হামলা চালানো হয়েছে এবং অন্তত আটটি স্থানে (শহরে) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।”
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আবাসিক ভবনেও হামলা হয়েছে।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের এই প্রাণঘাতী হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেছেন, “জায়নবাদী এ হামলার জবাব অবশ্যই ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দেবে।” মুখপাত্র আরও হুঁশিয়ারি দেন, “ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
