প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে ২৬ বাংলাদেশির ‘দুর্দশায়’ থাকার অভিযোগ পেয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুই মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিটিভেনি রাবুকা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) ফিজির সংবাদমাধ্যম ফিজি টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিজির প্রধানমন্ত্রী এ সপ্তাহে ওই শ্রমিকদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। এ সময় তারা রাবুকার কাছে অভিযোগ করেন, তাদের বসবাসের পরিবেশ অনুপযুক্ত, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের সরবরাহ নেই। তাদের চাকরির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে।
অভিযোগ শোনার পর রাবুকা বলেন, ‘কোনো শ্রমিকের এমন পরিস্থিতিতে বসবাস করা উচিত নয় যা তাদের মর্যাদার সাথে আপস করে। আইন মেনে চলা এক বিষয়, কিন্তু শ্রমিকদের জীবনযাপনের মান উন্নত করার বিষয়টি নিয়োগ কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার ওপরও নির্ভর করে।’
নিয়োগদাতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আইন মেনে চলা এক বিষয়, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা আরেকটি বিষয়। বিভিন্ন দেশে ফিজির অনেক শ্রমিক কাজ করেন। তারা বৈষম্যের শিকার হোক, তা আমরা কখনো চাই না। ফলে এখানে যেসব বিদেশি কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রেও আমাদের প্রত্যাশা একই রকম হওয়া উচিত।”
নিয়োগকর্তাদের জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের আহ্বান জানান রাবুকা।
এসব বাংলাদেশি ওই সুপারমার্কেটেই কাজ করেন। তাদের অভিযোগ, ‘পরিবেশ-পরিস্থিতির’ কারণে ফিজিতে কাজ করাটা তারা উপভোগ করতে পারছেন না।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্যানুযায়ী, ফিজিতে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন। এদের অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি। এর বাইরে ভারত, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের শ্রমিক রয়েছে দেশটিতে।