ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রশিবিরের আন্তর্জাতিক ও শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন সম্পাদক হাসানুল বান্না অলি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়ে সিজিপিএ ৪.০০ অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি কুমিল্লা বৃহত্তর জেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে স্নাতক পর্যায়ে তার সিজিপিএ ছিল ৩.৭৭। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে তিনি দাওয়াহ বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০২৫ সালের ছাত্রশিবিরের শাখা কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি আন্তর্জাতিক ও শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি পরামর্শ সভার সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি লেখেন, “মাস্টার্সের যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। একদিকে আন্দোলন, দায়িত্ব আর অন্যদিকে শিক্ষাজীবনের নানা চ্যালেঞ্জ—সব কিছুর মধ্যেই আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এই ফলাফল অর্জন করতে পেরেছি। সংগঠনের ভাইয়েরা সবসময় পাশে ছিলেন, উৎসাহ দিয়েছেন। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।”
তিনি এক আবেগঘন বার্তায় আরও লেখেন, “আমি মায়ের সবচেয়ে আদরের সন্তান ছিলাম। আম্মা সবসময় চাইতেন আমি ভালো কিছু করি। আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, তাহলে রেজাল্ট পাওয়ার পর প্রথম তাকেই জানাতাম। আমার আজকের এই সাফল্যে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন তিনি।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার জীবনের মূল লক্ষ্য হলো ইকামতে দ্বীনের কাজ করে যাওয়া। আমি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চাই এবং পরে দেশে ফিরে সমাজ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করতে চাই।”
বান্না অলির এই সাফল্য তার সহপাঠী ও সংগঠনের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ছাত্ররাজনীতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তার এই দ্বৈত ভূমিকা তাকে একটি অনুকরণীয় চরিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।