বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মচারীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে মিছিলটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর, মো. নুরুল ইসলাম ও কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ চলাকালে কর্মচারীরা স্লোগান দিতে থাকেন—
‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’।
সমাবেশে কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সরকারি চাকরি আইন বাতিল চাই এবং ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দাবি করছি। একইসঙ্গে ফ্যাসিবাদের দোসর কর্মকর্তাদের বিদায় চাই।”
তিনি আরও জানান, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আটটি বিভাগীয় শহরে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং তা শিগগিরই চূড়ান্ত হবে।
বাদিউল কবীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই কালো অধ্যাদেশ সম্পূর্ণ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
ফোরামের কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের সুপারিশ দেওয়া হবে বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু আমরা সেটি মেনে নেব না। আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চাই।”
ঈদের ছুটি শেষে সোমবার (১৬ জুন) থেকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। গতকালও ছিল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়, যেখানে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে।
কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন।