বাংলাদেশিদের বিয়ে করতে চীনা নাগরিকদের সতর্ক করল বেইজিং

New-Project-67.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

চীনের নাগরিকদেরকে বাংলাদেশি নারীদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে ঢাকার চীনা দূতাবাস। সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে জারি করা সতর্কবার্তায়, বিদেশিদের বিয়ের ক্ষেত্রে চীনা নাগরিকদের কঠোরভাবে আইন মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে, চীনা নাগরিকরা যেন অবৈধ ম্যাচমেকিং এজেন্টদের এড়িয়ে চলেন। একই সাথে, শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত আন্তঃসীমান্ত ডেটিংয়ের বিষয়বস্তু দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। দূতাবাস স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা কোনো এজেন্সিকে আন্তঃসীমান্ত বিবাহ ম্যাচমেকিং পরিষেবা পরিচালনার অনুমতি দেয় না।

চীনা নাগরিকদের ‘বিদেশি স্ত্রী কেনা’র মতো ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে এবং বাংলাদেশে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চিন্তা-ভাবনা করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন রোমান্স স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে, যা আর্থিক ও ব্যক্তিগত উভয় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ধরনের কেলেঙ্কারির শিকার হলে দ্রুত চীনের জননিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছে দূতাবাস।

এতে আরও বলা হয়েছে, চীনে নারী-পুরুষের অনুপাতের ভারসাম্যহীনতার কারণে অনেক চীনা পুরুষ বিয়ের জন্য অন্য দেশ থেকে স্ত্রী আনার পরিকল্পনা করছেন। এই সুযোগে কিছু এজেন্সি টাকার বিনিময়ে সম্ভাব্য স্ত্রী খুঁজে দেওয়ার কাজ করছে, যার আড়ালে মানবপাচারের মতো গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

দূতাবাস সতর্ক করেছে যে, বাংলাদেশ সরকার মানবপাচারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা বাংলাদেশে অবৈধ আন্তঃসীমান্ত বিবাহে জড়িত থাকবেন, তারা মানবপাচারের সন্দেহে গ্রেপ্তার হতে পারেন।

দূতাবাস বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশে বিচারিক প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ হতে পারে। মানবপাচারের সন্দেহে কেউ গ্রেপ্তার হলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রায় পেতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে, যা ব্যক্তির জীবন ও পারিবারিক পুনর্মিলনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

এই সতর্কবার্তা প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হল, চীনা নাগরিকদের এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রম এবং এর ফলে সৃষ্ট আইনি জটিলতা থেকে রক্ষা করা।

Leave a Reply

scroll to top