জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন শতাধিক। এদের মধ্যে অন্তত ৩৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর আন্দোলনকারীরা কাকরাইল এলাকায় যমুনা অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন।
বুধবার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁরা বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে। ঘাতক পুলিশ সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” আন্দোলনকারীরা “আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “এসেছি যমুনায়, যাব না খালি হাতে” প্রভৃতি স্লোগান দেন।
পুলিশি হামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলালসহ সাংবাদিক ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরাও আহত হন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করছিলেন। মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের মোড়ে পৌঁছাতেই পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি ছুড়ে হামলা চালায়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ আহত হন শতাধিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, ডিন মঞ্জুর মোর্শেদসহ শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো:
১. ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি কার্যকর করা
২. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেকে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন
এর আগে মঙ্গলবার ইউজিসিতে প্রতিনিধি দল গেলেও আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে ‘জুলাই ঐক্য’র ব্যানারে যমুনা অভিমুখে লং মার্চের ডাক দেওয়া হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।