প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিন: মির্জা ফখরুল 

New-Project-23.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ড. ইউনূস একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অবহেলা করে, এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যে চুক্তি দেশের বিরুদ্ধে যাবে।  সংস্কারকাজ শেষ করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, বিভাজন নয়, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকবে দেশ। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আমরা অনেক বছর একটা ডাইনির হাতে জিম্মি থেকেছি। কোনো ছেলে-মেয়ের পরিবারে বিএনপির গন্ধ থাকলেই তাদের আর চাকরি হতো না। ব্যবসাতেও একই অবস্থা করেছে তারা। দীর্ঘ সংগ্রাম আর অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা তার হাত থেকে রেহাই পেয়েছি। তারপরও ডাইনি হাসিনা পাশের দেশ ভারতে বসেই আমাদের গুঁতোগুঁতি করে চলেছেন। দেশ থেকে পালিয়েও জনগণকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না সে ভয়াবহ ডাইনি।

আয়নাঘর সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব বলেন, হাসিনা ও আওয়ামী লীগ যাদের ভয় করেছে বা আওয়ামী যাদের লীগ নিজেদের জন্য হুমকি মনে করেছে, তাদেরকেই তারা গুম করেছে। ১৭০০ মানুষকে গুম করেছে তারা। গুম হওয়া বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর যাদের খোঁজ পাওয়া গেছে, তারাও অন্তত ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত আটকে থেকেছেন। সিলেটের এমপি ও প্রতাপশালী নেতা ইলিয়াসের এখনো খবর পায়নি তার পরিবার।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দল বিএনপি। অন্যায় করবেন না, যদি করেন তাহলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। কেউ অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। দল আপনাদের, ধানের শীষ আপনাদের, রক্ষা করার দায়িত্বও তাই আপনাদেরই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) শিল্পীদের দেশাত্মবোধক গান ও গণসংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ।

বিভিন্ন জেলা ও শহর থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথায় ছিল লাল, সবুজ, সাদা ও কালো টুপি, পরনে ছিল টি-শার্ট।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়া পল্টন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।

Leave a Reply

scroll to top