অনেকটা বলা যেতে পারে সিলেট টেষ্ট থেকে শিক্ষা নিয়েই চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে অলআউট করে দিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণভাবেই করেছে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম-মেহেদী মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২১৭ রানের লিড নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশ অল আউট হয় ৪৪৪ রানে। ১৬ বল খেলে কোনো রান না করে অপরাজিত থাকলেন হাসান মাহমুদ। মিরাজকে আউট করে অভিষিক্ত মাসেকেসা প্রথম সুযোগেই পেলেন ৫ উইকেট।
ম্যাচ রিপোর্ট
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অল আউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে দারুণভাবে জবাব দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ২০৫ রানে চা বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ সেশনে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। মুজারাবানির বলে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়। রান করেছেন ৩৯। এর পরই নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি তুলে নেন সাদমান। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মুমিনুল। মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ভাঙে ৭৬ রানের জুটি। পরের ওভারের প্রথম বলেই রায়ান বেনেট এলবিডব্লু করলেন সাদমানকে। সাদমান ফিরে যান ১২০ রানে।
২৫৯ থেকে ২৭৯ রানে চার উইকেট হারায় বিকালের সেশনে। ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দিনের খেলা শেষ করে তৃতীয় দিন লিড সমৃদ্ধ করার আশায় স্বাগতিক দল। মঙ্গলবার ৬৪ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল শান্তর দল। ব্যাট করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
মিরাজ উইকেটে এসেছিলেন ২৬৭ রানে দলের পাঁচ নম্বর উইকেটটা পড়ার পর। লিড ততক্ষণে মাত্র ৪০ রান। অপর প্রান্তে মুশফিকুর রহিম টিকতে পারেননি। তাইজুল ইসলামের সাথে গড়েছেন ৮৪ বলে ৬৩ রানের জুটি। স্টাম্পড হয়ে তাইজুল ফিরলে তানজিম সাকিব এসে যোগ দেন তার সাথে। সেখানেই এসেছে ইনিংসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৬ রানের জুটি। নিজের ডেবিউ ম্যাচে মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন তানজিম। অবশ্য ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থেকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ না দিলে ইনিংস আরও বড়ও হতে পারত। তানজিম সাকিব ফিরে গেছেন ৪১ রানে।
১২৫তম ওভারে মাধেভেরের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মিরাজ। ১২৯.২ ওভারে স্পিনার মাসেকেসাকে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। ১৬২ বলে ১০৪ রান করা মিরাজের আউটের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
টেস্ট অভিষেকেই ৫ উইকেট নিলেন জিম্বাবুয়ে স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। জিম্বাবুয়ে হয়ে টেস্ট অভিষেক ইনিংসে এর আগে ৫ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডি ব্লিগনাট ও জন নিয়ুম্বু।