ভেড়ামারায় মাজারে গাঁজাসেবীদের আখড়ায় অভিযানে গিয়ে লাঞ্ছিত ম্যাজিস্ট্রেট

New-Project-10-9.jpg

ভেড়ামারায় মাজারে গাঁজাসেবীদের আখড়ায় অভিযানে গিয়ে লাঞ্ছিত ম্যাজিস্ট্রেট

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ঘোড়েশাহ বাবার মাজারে গাঁজাসেবীদের আখড়ায় অভিযানে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন। রোববার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়ন সাতবাড়ীয়া বিত্তিপাড়া এলাকায় অবস্থিত মাজারে অভিযানে গিয়ে তিনি তোপের মুখে পড়ে লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে – ভেড়ামারার সোলাইমান শাহের মাজার এবং ঘোড়েশাহ বাবার মাজারে দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের হাট বসে। গাঁজাসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয় পুরো মাজার এলাকা। এ বছর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় ২টি মাজারেই মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং গাঁজার আখড়া উচ্ছেদ করা হবে। চলতি মাসের প্রথম দিকে গোলাপনগরে অবস্থিত সোলাইমান শাহ্‌মাজারে মাদক ও গাজার আখড়া নিয়ন্ত্রণ হলেও ঘোড়েশাহ বাবার মাজারে শুরু হয় মাদক ও গাঁজার আখড়া।

গত ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ঘোড়ে শাহ বাবার মাজার। পুরো বৈশাখ মাসজুড়ে চলবে। সপ্তাহে ২ দিন শুক্র ও সোমবার চলে এই আখড়া। মাজার শুরুর আগেই প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল গাঁজার আখড়া না বসাতে। তথাপিও প্রশাসনের সেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাজারে মাদককারবারি ও গাঁজাসেবীরা মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করে পুরো মাজার এলাকা গাঁজার আখড়ায় পরিণত করে।

এমন সংবাদ পেয়েই রোববার দুপুর ২টায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে যান ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন। তারা অভিযান শুরু করতে গেলে সেখানে বাধা দেন মাজারে উপস্থিত মাদককারবারি এবং লাল পোশাক পরা বিশেষ একটি গোষ্ঠী। এ সময় তারা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন ও অভিযানে থাকা টিমের সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন। পরে তোপের মুখে পড়ে নিজেকে রক্ষা করেই ফিরে আসেন কর্মকর্তারা।

ঘোড়েশাহ্ বাবার মাজার কমিটির সভাপতি মোহাম্মদকে খুঁজে না পাওয়ার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আব্দুল মজিদকে নিয়ে মতবিরোধ থাকায় সে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসাইন কে লাঞ্ছিত করায় আমরা প্রশাসনিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাজার কমিটি আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল আমি জানিয়ে দিয়েছি আগামীতে বহিরাগত থেকে আসা কোন ফকির, ভক্তরা মাজারে প্রবেশ করতে পারবেনা। এবং মাদক সেবন করতে পারবেনা। এই আদেশ অমান্য করলে প্রশাসন আরো কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

Leave a Reply

scroll to top