প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া তৃতীয় ধাপের প্রার্থীরা শাহবাগে মহাসমাবেশ শেষে সচিবালয়ের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এসময় ফের জলকামান দিয়ে পানি ছিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে আসেন তারা। তবে বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন শিক্ষকরা। এরপর সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের ব্যারিকেডের সম্মুখীন হন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। তারপর থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে অনড় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া একজন শিক্ষকের সাথে ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের সমস্ত কিছু হবার পর আমাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। এটা অন্যায়। আমার এই বিচার চাই। কিন্তু মনে হচ্ছে আমারা কার কাছে বিচার চাইবো। সরকার সব বুঝে, কেন আমাদের নিয়োগ দিচ্ছে না? আমার মাথায় আসছেনা।
একজন নারী শিক্ষক বলেন, আমরা কোনো অনায্য দাবি করছি না। আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাচ্ছি না। আমরা আমাদের অধিকার চাচ্ছি। এই বিষয়ে হাইকোর্ট আমাদের অধিকার দিয়েছে। নয্যতা দিয়েছে কিন্তু আমাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না কেন। একটাই কথা আমাদের, আমার নিয়োগ চাই।
আমেনা বেগম নামে একজন শিক্ষক বলেন, দাবি আদায়ে রাজ পথে এসেছি। আদায় না হলে আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। নিয়োগ আমাদের চাই। সেটা আমাদের অধিকার। আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাচ্ছিনা। একটি কথা নিয়োগ।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, ১১ দিনেও কেউ তাদের সঙ্গে কথা বলেনি বা দাবি পূরণে কোনোপ্রকার আশ্বাস দেয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস না পেলে সড়কেই অবস্থান করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশিত হয়। যেখানে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন।