হঠাৎ এনামুল হক বিজয়ের দেশত‍্যাগে নিষেধাজ্ঞা!

New-Project-22.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়যার লিগ যেন রোলার কোস্টারের সেই রাইড যেখানে বিতর্ক থামার নামই নিচ্ছে না। বিপিএলের এগারোতম আসরে চেক জালিয়াতি, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের নয়-ছয়, অনুশীলন বয়কট, বিদেশী খেলোয়াড়দের মাঠে না নামা, তারকা খেললোয়াড়দের বাকবিতন্ডায় জড়ানো নিয়ে শোরগোলের মধ্যে নতুন সংযোজন স্পট ফিক্সিং।

বিপিএলের এবারের আসরে স্পট ফিক্সিংয়ের নানা অভিযোগ উঠেছে তারকা ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়সহ দেশি-বিদেশি প্রায় দশ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে। বিজয় ছাড়া তালিকায় আছেন মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, শফিউল ইসলামের, মোহর শেখ, আল-আমিন হোসেন, আলাউদ্দিন বাবু, নাজমুল ইসলাম অপু, থিসারা পেরেরা, শুভাম রাঞ্জানের মতো ক্রিকেটাররা। যদিও এখন পর্যন্ত অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তবে আপাতত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বিজয়। দেশত‍্যাগের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি ইমিগ্রেশনকে জানানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম কালের কণ্ঠ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হককে যেন দেশ ছাড়তে না দেওয়া হয়। এ ব‍্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘মিস্টার এনামুল হকের ব‍্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মতে ব‍্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা আপৎকালীন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। দুর্নীতি দমন বিভাগের তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হলে এনামুলের দেশত‍্যাগের ওপর সতর্কতা তুলে নেওয়া হবে।

মৌসুমের শুরুতে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক ছিলেন এনামুল। পরে তাকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়ক ঘোষণা করে রাজশাহী। এনামুল একা নন, রাজশাহীর একাধিক ক্রিকেটারকে ঘিরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আছে। আবার রাজশাহী ছাড়া আরো অন্তত তিনটি দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি করছে দুর্নীতি দমন বিভাগ।

চলতি আসরে ফিক্সিং কান্ডে সর্বোচ্চ ১২টি ঘটনায় (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) আকু’র সন্দেহে তালিকার আছে দুর্বার রাজশাহী। সমান সংখ্যক ঘটনায় তালিকার পরের নাম ঢাকা ক্যাপিটালস। সিলেট স্ট্রাইকার্সের দিকে সন্দেহ ৬টি ঘটনায়, আর তালিকার আরেক নাম চিটাগং কিংস। যাদের নামের পাশে আছে ২টি সন্দেহজনক ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ।

যে আট ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, সেগুলো হলো ফরচুন বরিশাল বনাম দুর্বার রাজশাহী (৬ জানুয়ারি), রংপুর রাইডার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস (৭ জানুয়ারি), ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স (১০ জানুয়ারি), দুর্বরা রাজশাহী বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস (১২ জানুয়ারি), চিটাগং কিংস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স (১৩ জানুয়ারি), ফরচুন বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি), ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স (২২ জানুয়ারি), দুর্বার রাজশাহী বনাম রংপুর রাইডার্স (২৩ জানুয়ারি)।

এসব ম্যাচ নিয়ে চলমান রয়েছে তদন্ত। তদন্ত শেষে সেই হিসেবেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

Leave a Reply

scroll to top