জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যাত্রীবেশে দুই ছিনতাইকারী চালকের গলা কেটে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান নিয়ে পালানোর সময় তাঁদের আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। সোমবার রাতে পৌনে আটটার দিকে জয়পুরহাট- পাঠানপাড়া সড়কে উপজেলার হোপ সেতু এলাকায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এতে গুরুত্বর আহত ওই ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনির শিকার দুই ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।
রক্তাক্ত জখম আহত ওই ভ্যানচালকের নাম সাইফুল ইসলাম (৫০)। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ গ্রামের লাজেম উদ্দিনের ছেলে। গণপিটুনির শিকার দুই ছিনতাইকারী হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ঘেনাপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন (২৫) ও একই উপজেলা গুয়াবাড়িঘাটের স্বপন হোসেন (৫০)।
থানা পুলিশ ও হোপ গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাতটার পর চৌমুহনী এলাকা থেকে পাঠান পাড়া যাওয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তি সাইফুলের ব্যাটারিচালিত ভ্যানে চেড়েন। চালক ভ্যান নিয়ে হোপ সেতু এলাকায় পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা পিছন থেকে তাঁর ধারালো অস্ত্র দিয়ে চালাকের গলায় চুরি দেন। এতে তাঁর গলা কেটে যায়। তিনি সড়কের ওপর পড়ে যান। স্বপন হোসেন নামের ওই ছিনতাইকারীর একজন ভ্যান চালিয়ে নিয় যাচ্ছিলেন আর সজিব হোসেন ভ্যানে বসে ছিলেন। এসময় সড়ক দিয়ে আসার সময় লোকজনকে ভ্যানচালক সাইফুল ঘটনাটি জানান। তাঁরা সেখান থেকে সাইফুলকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
সাইফুলের গলাকেটে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনাটি হোপগ্রামে লোকজনদের জানান তাঁরা। গ্রামের লোকজন ধাওয়া করে ভ্যানসহ ওই দুই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন। ও দুই ছিনতাইকারীদের গণপিটুনি দেন। পরে তাঁদের একটি ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। যোগাযোগ করা হলে ক্ষেতলাল থানার ওসি আরিফুল ইসলাম ফোন রিসিভ করেননি। এই ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমন একটি ঘটনা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। পুলিশ যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে আইনের সঠিক প্রযোগ ও আরো বেশি সচেতন হন তাহলে রোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি যেসব স্থানে নিরাপত্তা নিয়ে ঝুকি থাকে সেই সব স্থানে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় মনিটরিং করলে এসব ঘটনা কমানো সম্ভব বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।