উত্তরায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের বাসে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫

New-Project-6-16.jpg

হামলার দৃশ্য

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টঙ্গী-গাজীপুর রুটের চলাচল করা ‘ক্ষণিকা’ নামক বাসে হামলার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুম বিল্লাহ। বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার ভিডিও দেখে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমরা ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে আমাদের টিম। তবে মামলার বাদী ও আসামিদের সংখ্যা সম্পর্কে তিনি জানান, কতজনকে আসামি করা হয়েছে, নাম উল্লেখ আছে কিনা বা বাদী কে—সেটি এখন যাচাই করে বলা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগে আছি। হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

কি ঘটেছিল

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে টঙ্গী-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ বাসটি উত্তরা আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে একদল উত্তেজিত যুবক বাসটি থামিয়ে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় অন্তত পাঁচ থেকে ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে। উত্তরার বিএনএস এলাকায় বিআরটিসির একটি ট্রাক এক স্কুলছাত্রকে চাপা দিলে উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ঢাবির বাসটি সেখানে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ যুবকদের একটি দল বাসের লুকিং গ্লাস ভাঙে এবং চালককে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

ঘটনার খবর পেয়েই উত্তরায় ছুটে যান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ। তারা আহত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান, চিকিৎসার খোঁজ নেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “এটা কেবল একটি হামলা নয়, আমাদের শিক্ষার পরিবেশ, ছাত্রছাত্রীদের মনোবল এবং নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা এর কঠোর বিচার দাবি করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, হামলার ঘটনার পর থেকেই পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

scroll to top