সুন্দরবনের আগুন নেভাতে  জোয়ারের অপেক্ষায়

New-Project-2025-03-24T142750.959.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুন্দরবনের গুলিশাখালীতে লাগা আগুনের চারপাশে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। ঘটনাস্থলের চারপাশে কোথাও পানি নেই। তাই জোয়ারের অপেক্ষায় রয়েছেন বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ভোলা নদীতে পানি না থাকায় পাম্প চালু করতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন তেইশের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগ। পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ থমকে গেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী ভোলা নদীতে ভাটা চলছিল। নদীতে পানি না থাকায় পানির পাম্প বন্ধ রাখতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। স্থানীয়রা বলছেন, ভোলা নদীতে জোয়ারের পানি আসতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনসার হাওলাদার বলেন, “ভোলা নদীতে নাব্য না থাকায় ভাটার সময় একেবারে পানি থাকে না। বর্তমানে নদীতে জোয়ার ভাটার নিয়ম অনুযায়ী জোয়ারের পানি আসতে বিকেল হতে পারে। নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি আসতে আসতে সন্ধ্যা হবে।”

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, “আমরা রাত থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু নদীতে পানি না থাকায় আগুনে পানি ছিটানো যাচ্ছে না। আগুন যাতে বিস্তৃত এলাকা ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য বনকর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জোয়ার এলেই পাম্প চালিয়ে পানি দেওয়া হবে আগুনে।”

চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক দীপন চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা ফায়ার লাইন কেটে রেখেছি কিন্তু পানির সংকট রয়েছে। জোয়ার না আসা পর্যন্ত রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, শনিবার কলমতেজীতে লাগা আগুন রোববার দুপুরে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়েছে। আগুন নিভে গেছে। দুই এক জায়গায় ধোঁয়া দেখা যাওয়ায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে গুলিশাখালীতে কী পরিমাণ জায়গায় আগুন জ্বলছে, তা জানতে ও জানাতে আরও সময় লাগবে বলে জানান বন বিভাগের এই কর্মকর্তা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু বক্কর জামান বলেন, “আগুন নেভানোর জন্য প্রচুর পানি দরকার। পানির অভাবে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। রাতে কয়েক ঘণ্টা পানি ছিটাতে পারলেও নদীতে ভাটা হওয়ায় এখন পর্যন্ত পাম্প চালু করা সম্ভব হয়নি। ভাটা শেষে ভোলা নদীতে জোয়ারের পানি এলে আবারো পাম্প চালু করব। পানি না থাকায় বন বিভাগ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা আশপাশের এলাকায় ফায়ার লাইন কেটে আগুনের বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।”

Leave a Reply

scroll to top