৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দেশজুড়ে ছাত্রসমাজের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। তাদের দাবি—৪৬তম বিসিএস প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িতদের দ্রুত বিচার এবং পিএসসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন :”এটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার শুদ্ধতা নষ্ট করেনি, এটি আমাদের প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি কাঁপিয়ে দিয়েছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা দেশের মেধাবী তরুণদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি—এই প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “পিএসসি’র কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কার করতে হবে। এই দাবিতে আমরা রাজু ভাস্কর্যের প্রাঙ্গণে অনশন করছি—এটা শুধু প্রতিবাদ নয়, এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি যে আমরা মেধার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, এবং একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের পক্ষে।
আমরা শান্তিপূর্ণ কিন্তু দৃঢ়। আমাদের দাবি মানতে হবে, কারণ এটি দেশের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। মেধা যেন কখনোই প্রশ্নফাঁসের কাছে হেরে না যায়, সেই চেতনায় আমরা আজ একত্রিত হয়েছি।”
অনশনরত শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, “আমরা দিনের পর দিন পড়াশোনা করে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিই, কিন্তু প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা শুধু অন্যায় নয়, এটা দেশের ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রতারণা।”
আন্দোলনকারীরা পিএসসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে আসে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। পিএসসি শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।
ছাত্ররা জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবে তারা