রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তালা ঝুলান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে প্রশাসন ভবনে আটকা পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা) এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন (প্রশাসন)।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত ৮টায় আন্দোলনকারীরা সংবাদ সম্মেলন করে সকাল ১০টার মধ্যে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তির সময় বেধে দেয়। আর দাবি না মানা হলে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
অবরুদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, আমি যে ভেতরে আটকা পড়ে আছি তেমনটা নয়। আমি আমার অফিসের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলব যেকোনো একটি আন্দোলন গণতান্ত্রিক উপায়ে হওয়া উচিত। কারো গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে কোনো আন্দোলন করা ঠিক না।
এ বিষয় উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সকল স্ট্রেক হোল্ডারদের সাথে কথা বলে এমন একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত এসেছিলাম। এই যে ১ শতাংশ কোটায় রাখা হয়েছে সেটা শুধু এ বছরের জন্য। আগামী বছর এটা বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। আগামী বছর থেকে এটা সম্পূর্ণরূপে উঠে যেতে পারে। তবে শিক্ষার্থীরা কেন যে আন্দোলন করছে তা আমার বোধগম্য নয়।