পিরোজপুরের নেছারাবাদের মিয়ারহাট বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ৪০ টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ০৩টি ইউনিট ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মিয়ারহাট বন্দরের মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পিরোজপুরের ফায়ার সার্ভিসের ওয়াসার ইন্সপেক্টর যুগল বিশ্বাস জানান, ৪ ঘন্টার চেষ্টার পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
প্রদক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সকাল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে বাজারের বরফ কল ব্যবসায়ীর চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মসজিদের মাইকে আগুন নিভাতে এলাকাবাসীর সাহায্য চাওয়া হয় ও ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হয়। খবর পেয়ে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস,কাউখালী ফায়ার সার্ভিস ও বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ০৩টি ইউনিট ০৪ ঘন্টা ধরে সম্মিলিত চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ততক্ষণে বাজারে ৪০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়, কিন্তু কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি দোকানে যাই। গিয়ে দেখি আমার দোকানে আগুন জ্বলছে। কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। আমার দুটি দোকান ছিল দুটি দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
মিয়ারহাট বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদল বেপারী বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন লাগে। এতে আমাদের বাজারের প্রায় ৩০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়াশা ইন্সপেক্টর যুগল বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের ৪ ঘণ্টা চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
নেছারাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই ও নিয়ন্ত্রণে আসার শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পর্যবেক্ষণ করেছি। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের ০৩টি ইউনিট ০৪ ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ৪০টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে কিন্তু কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট -সার্কিট অথবা চায়ের দোকানের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।