দেশবরেণ্য দুই কিংবদন্তির প্রয়াণদিবস

New-Project-2025-02-20T172132.383.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ দেশবরেণ্য কিংবদন্তি অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা এবং এটিএম শামসুজ্জামানের যথাক্রমে  ১৯তম ও ৪র্থ মৃতু্যবার্ষিকী।

গোলাম মুস্তাফা

২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি চলে গেছেন দুনিয়ার রঙ্গমঞ্চ ছেড়ে। গোলাম মুস্তাফা ১৯৩৫ সালের ২ মার্চ বরিশাল জেলার পিরোজপুর মহাকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় আসেন পঞ্চাশের দশকের মধ্য সময়ে। বেতারের অভিনেত্রী হোসনে আরার সঙ্গে ভালোবেসে ১৯৫৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ২ কন্যার জনক। তার জ্যেষ্ঠ কন্যা সুবর্ণা মুস্তাফা দেশবরেণ্য অভিনেত্রী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হল মঞ্চে বিডি হাবিবুল্লাহ রচিত ‘পল্লীমঙ্গল’ নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর বরিশাল জিলা স্কুলে ফাতেহা ইয়াজদাহম উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘ঐ নাম’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন এবং আবৃত্তিকার হিসেবে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন।

এটিএম শামসুজ্জামান

আরেক কিংবদন্তি এবং বহু গুণের অধিকারী এটিএম শামসুজ্জামানও ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। দেশজুড়ে তার পরিচিতি একজন সু-অভিনেতা হিসেবে।

কিন্তু এই একটি পরিচয়ে সীমাবদ্ধ ছিলেন না তিনি। নির্মাণ করেছেন চিত্রনাট্য, লিখেছেন নাটক এবং সাহিত্য অঙ্গনেও রেখেছেন তার মুনশিয়ানার ছাপ। নন্দিত এই অভিনয়শিল্পীর পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। ইচ্ছা ছিল লেখক হবেন। কিন্তু লিখতে গিয়ে ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়েন অভিনয়ে। আর এই ভুবনই তাকে দিয়েছে খ্যাতি, জনপ্রিয়তা। প্রায় ছয় দশক মিশে ছিলেন শোবিজে। হয়ে।

সব চরিত্রেই নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। এর বাইরে শতাধিক সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। লিখেছেন নিজের আত্মজীবনীও, যেটার নাম ‘শিল্প সংস্কৃতি ও আমার শিল্পী জীবন’।

এটিএম শামসুজ্জামানের জন্ম ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীতে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন জগন্নাথ কলেজে। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে রুপালি জগতে কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয়ের শুরুটা হয় ‘নয়া জিন্দেগানি’ নামের একটি ছবির মাধ্যমে। তবে সেটি মুক্তি পায়নি। এটিএমকে প্রথম পর্দায় দেখা যায় ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ সিনেমায়। এক খবরের কাগজ বিক্রেতার ভূমিকায় হাজির হন তিনি। সেই ছোট্ট চরিত্র থেকে নাটক-সিনেমার অন্যতম দাপুটে অভিনেতায় প্রতিষ্ঠিত হন গুণী এই শিল্পী।

Leave a Reply

scroll to top