টানা পাঁচ হারে বিপিএল থেকে রংপুরের বিদায়!

New-Project-42.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

টানা আট জয়ের পর খানিকটা উড়ছিল রংপুর রাইডার্স। এরপরই যেন মুদ্রার অপর পিঠও দেখা হয়ে গেলো ফ্রাঞ্চাইজিটির। একে একে টানা চার হার। যদিও প্রথম আট ম্যাচে জয়ের সুবাদে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল নুরুল হাসান সোহানের দল। শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে সোমবার তিন বিদেশি প্লেয়ার নিয়ে মাঠে দলটি।

বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলতে উড়ে এসেছিলেন আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড এবং জেমস ভিন্স। তিনজনেই ক্রিকেট বিশ্বের নামী মুখ, তাদের ঘিরে প্রত্যাশাও ছিল ব্যাপক। কিন্তু হতাশ করেছেন তিনজনই।  এলিমিনেটরের প্রথম খুলনা টাইগার্সের স্পিন ঘূর্ণিতে উড়ে গেছে রংপুর। নুরুল হাসান সোহানের দলকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের টিকিট নিশ্চিত করল মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্স।

সোমবার টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন রংপুর অধিনায়ক সোহান। ব্যাট করতে নেমে পড়ে মহাবিপদে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে জেমস ভিন্সের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন সৌম্য। এক বল না খেলেই মারেন ডায়মন্ড ডাক। পরের ওভারে নাসুমের শিকার হয়ে ফিরেছেন ভিন্স। ৭ বলে মোটে ১ রান করতে পেরেছেন এই ব্যাটার।

পরপর দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরতে পারেননি সাইফ হাসান ও শেখ মেহেদী। নাসুম আহমেদের দারুণ এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প উপড়ে গেছে মেহেদীর। পরের ওভারে খুলনা কাপ্তান মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাইফও। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ৪ রান।

ব্যাটিংয়ে কিছুটা ওপরের দিকে খেলার সুযোগ পেলেও সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি সাইফউদ্দিন। হাসান মাহমুদের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও হয়নি শেষ রক্ষা। এক চারের মারে ৮ বলে ৮ রানে থেমেছে তার লড়াই। টপ-অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় রংপুর।

অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় ছিলেন। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ২৩ রান। প্লে-অফের জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছিল ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব আন্দ্রে রাসেলকে। সেই সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটার টিম ডেভিড। দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন। ডেভিড করেছেন ৯ বলে ৭ রান। রাসেল ৯ বলে ৪ রান করেন।

শেষ দিকে লড়াই চালিয়েছেন আকিফ জাভেদ। ১৮ বলে ৩২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলের রানটাকে ৮৫ পর্যন্ত টেনে নেন আকিফ। খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় শিকার করেন ৩ উইকেট। সমান ৩ উইকেট পান নাসুম আহমেদও। ৪ ওভারে ১ মেডেন ও ৩ উইকেট পাওয়া নাসুম রান দেন ১৬।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করতে মিরাজদের সামনে ১২০ বলে ৮৬ রানের সহজ লক্ষ্য। কিন্তু ওপেন করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ কোনো রান করার আগেই আকিফ জাভেদের ডেলিভারিতে বোল্ড। এরপর মোহাম্মদ নাইম সঙ্গী হিসাবে পান তিনে নামা অ্যালেক্স রসকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই খুলনার রান ৫১। বাকি ১৪ ওভারে দরকার কেবল ৩৫ রানের।

নাইম-রস কোনো বিপদ ছাড়াই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ৫৮ বল বাকি থাকতেই খুলনা নিশ্চিত করল ৯ উইকেটের বড় জয়। ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার নাইম শেখ। অ্যালেক্স রসের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২৯।

Leave a Reply

scroll to top