চেতনানাশক খাইয়ে সিঁধ কেটে চুরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ২

New-Project-3.jpg

চেতনানাশক খাইয়ে সিঁধ কেটে চুরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ২

পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ১নং বলদীয়া ইউনিয়নের কাঠাপিটানিয়া গ্রামের এক দিনমজুর পরিবারের গৃহবধূকে খাবারের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় হৃদয় হালদার (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদ তিনি সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাজিরপুর উপজেলার বানিয়াকাাঠী গ্রামের মিঠুকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক হৃদয় হালদার একই উপজেলার রতন হালদারের ছেলে।

গত (২১মার্চ) শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটলে ও ভুক্তভোগীরা লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন মুখ খোলেনি। গত ৩০ মার্চ থানায় অভিযোগ দাখিল করার পরে জানাজানি হলে বিষয়টি সবার আমলে আসে।

জানা যায়, গত ২১ মার্চ গভীর রাতে হৃদয় ওই দিনমজুরের ঘরে প্রবেশ করে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মেশান। রাতে ঘরের সবাই খাবার খেলেও দিনমজুরের স্ত্রী খাবার না খেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হৃদয় ওই ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে টাকাপয়সা চুরি করেন। এ সময় গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাঁকে বাড়ির সামনে রাস্তায় রেখে হৃদয় পালিয়ে যান। পরে লোকলজ্জা ও হৃদয়ের ভয়ে পরিবারটি অভিযোগ করেনি। অব্যাহত হুমকি এবং বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে চৌকিদারের মাধ্যমে পুলিশের কাছে দেয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, চেতনা নাশক ঔষধ মিশ্রিত খাবার খাওয়ানের পর তাদের সবাইকে অচেতন করা হয়। এরপর গৃহবধূকে আরও বেশি অচেতন করতে চেতনাশক স্প্রে করে ঘর থেকে বাইরে এনে ৬ জনে সঙ্গবদ্ধভাবে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

অভিযুক্তদের মধ্যে একই গ্রামের হৃদয় হালদার ছাড়া আরো ৫ জন জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বনি আমিন জানান, বিষয়টি জানার পরপরই এএসআই হিরন মিয়াকে ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পাঠান এবং আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনেন। নেছারাবাদ থানা পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

Leave a Reply

scroll to top