চাঁদাবাজি কারা করেন, বন্ধের উপায় কী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নেই। দেশ পরিচালনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এই দুটি দলসহ শেখ হাসিনার সময়ে বিরোধী দলে থাকা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও ভালো অবস্থানে রয়েছে। দেশের নাগরিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, তারা ধর্ম-কর্ম, পরিবার আর সামাজিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সমাজের এই শ্রেণির মানুষ সব সময়ই চান দেশ ভালো চলুক, মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পরও বেশ কিছু সেক্টরে আগের অবস্থাই বিদ্যমান। এমন অনেক সেক্টরের মধ্যে আমরা যদি চাঁদাবাজি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করি তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন তৈরি হয়, শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা পালিয়ে আছেন, জেলে আছেন, অনেকে দেশ ছেড়েছেন- তাহলে এখন চাঁদা নেয় কারা? কোনো রাজনৈতিক দলই তার নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করছে এমনটা স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু তারাও (সব রাজনৈতিক দল) চায় দেশে চাঁদাবাজি না হোক। কিন্তু সত্যিকারার্থে কি দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? আমরা যদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলি তারা বলছেন- আগের মতোই তারা চাঁদা দিচ্ছেন। কিন্তু এই চাঁদা গ্রহীতা কারা?

রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতারা চাঁদাবাজির বিপক্ষে প্রতিদিনই বক্তৃতা দেন। তারা নিশ্চয়ই চান তাদের বক্তৃতা বাস্তবে রূপান্তরিত হোক। যদি তারা এ বিষয়ে আন্তরিক হোন তাহলে করণীয় কী? এমন আরেকটি প্রশ্নও সামনে চলে আসে, আর সেটি হচ্ছে- বিদ্যমান শীর্ষ রাজনৈতিক দল, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সমন্বিত উদ্যোগ এবং কঠোর পদক্ষেপ। আর এটা সফল হলে চাঁদাবাজি ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। এক সময় এসে কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে ‘চাঁদাবাজ’ এমন ভর্ৎসনা শুনতে হবে না। মানুষও দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজির অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। আর এর ইতিবাচক সুফল পাবে দেশ।

Leave a Reply

scroll to top