পিরোজপুরের ঘোষেরহাট বাজারে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গাভী জবাই করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কসাই কাওসার মাতুব্বরের (২৫) বিরুদ্ধে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জেলার জিয়ানগর উপজেলার ঘোষেরহাটে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কাওসার মাতুব্বর সোনামুদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের মিলবাড়ি এলাকায় বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘোষেরহাট বাজার অন্য সব বাজারের মতই শনিবার ও বুধবার সপ্তাহে দুদিন হাট বসে। কসাইরা ফজরের নামাজের সাথে সাথে গরু জবাই করে, অনেক সময় গরু বাড়িতে জবাই করে ভ্যানে নিয়ে আসে বিধায় গরু দেখার কোনো সুযোগ হয় না। শনিবার অন্য সব হাটের মতো অতি সকালে স্থানীয় কসাই কাওসার মাতুব্বর তার লোকজন নিয়ে গরু জবাই করে হাটে বিক্রি করে চলে যায়।
বিকেল ৩টায় খালের পানি শুকিয়ে গেলে স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী বাবুল মুন্সি প্রথমে জবাই করার স্থান থেকে অতি নিকটে খালের চরে মৃত বাছুরটি দেখতে পেয়ে বাজার কমিটিসহ স্থানীয় গণ্যমানদেরকে জানান। ঘোষেরহাট বাজার কমিটির সভাপতি মাকিত সিকদারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ জিয়ানগর থানায় অবহিত করলে কিছুক্ষণ পরে থানা সেকেন্ড অফিসার আব্দুল জলিল ও এসআই আশিকুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন।
সেকেন্ড অফিসার আব্দুল জলিল জানান, পরিদর্শন করে আমরা সত্যতা পেয়েছি, এটা ভেটেরিনারি সার্জন ও ভ্রাম্যমান আদালতের কাজ। আমরা ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করতে পারবো। তারা কারাদণ্ড অথবা জরিমানা করলে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারব অথবা কেউ উপযুক্ত প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
বাজার কমিটির সভাপতি ভেটোরিনারি সার্জনকে ফোনে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন ও স্থানীয় গণ্যমান্যদেরকে নিয়ে পরিদর্শন করেন।
ভেটোরিনারি সার্জন ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন ঘটনাটি যেহেতু সকালে ঘটেছে, আর মৃত্যু বাছুরটি খালের চরে পাওয়া গেছে বিকেলে। সাথে সাথে কেউ হাতে নাতে ধরতে পারেনি তাই আমাদের নিকট উপযুক্ত প্রমাণের অভাব রয়েছে। মৃত বাছুরটি অন্য কোথাও থেকেও ভেসে আসতে পারে। তাই আমরা এখনই কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না। আপনারা পরবর্তীতে হাতেনাতে ধরলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করব। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে স্থানীয় জনগণ আক্রোসে ফেটে পড়েন ও কতৃপক্ষকে দায়ী করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাওসার মাতুব্বরকে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করলেও প্রথমে তিনি ফোন রিসিভ করেননি পরে ফোন বন্ধ করে রাখেন।