পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলাধীন ঘোষেরহাট বাজারস্ত ব্রিজটি দীর্ঘ প্রায় ০৯বছর যাবৎ চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষের এখন পর্যন্ত টনক নড়েনি।
প্রতিদিন শিক্ষার্থী,শিশু,বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে কয়েক শতাধিক লোক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মানুষের ভোগান্তি চরম শিখরে পৌঁছেছে,যার ফলে দূরবর্তী কোনো ব্যবসায়ী আসতে না পারায় অএ বাজারের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে,ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে দিনের পর দিন লোকখান গুনছে।
বাজার ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী একাধিক জনের তথ্যমতে,২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে বালুভর্তি বলগেট জাহাজ ব্রিজটিকে ধাক্কা দিলে ব্রিজটির দক্ষিণ দিকের অংশ আংশিক ভেঙে যায় ও পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে।পরবর্তীতে কয়েক মাসের মধ্যে দক্ষিণ দিকের অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো,কাঠ দিয়ে মাঁচা বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা পারাপার হলেও কোন ধরনের যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়।
অএ বাজারের সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার মোড়েলগঞ্জ,মোংলা যাওয়ার একমাত্র সড়ক পথ হিসেবে এই ব্রিজটির ব্যবহার করে মোটরসাইকেল,ভ্যান গাড়ি, অটো রিক্সা,এম্বুলেন্স পিকআপ নিয়ে দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সমাগমে বাজারটি জমজমাট ছিল,বর্তমানে ব্রিজের বেহাল দশার কারণে শিশু,শিক্ষার্থী, বৃদ্ধও অসুস্থ ব্যক্তিদের গলার কাঁটা হওয়ায় মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউই এই ব্রিজ নামের সেতুটি পারাপারের ঝুঁকি নিচ্ছেন না। যার ফলে অত্র বাজারটি দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন,ক্রেতা শূন্য হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অত্র এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম আকন বলেন,ব্রিজটির সংস্কার বা পুন:র্নিমা নের জন্য চেয়ারম্যানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন ও পুনঃনির্মাণের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন কিন্তু কবে হবে সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।
ইন্দুরকানি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পরিষদের সামান্য বাজেট দিয়ে এই ব্রিজের কিছুই করা যাবে না,অল্প টাকায় হলে আমি পরিষদের বাজেট দিয়ে কিছু একটা করতাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে ব্রিজটির পুনর্নির্মাণের ব্যাপারে কথা বলেছি, আগামী বাজেটে এখানে একটি এানের ব্রিজ দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন,আশা করি এখানে একটা ভালো মানের ব্রিজ করা সম্ভব হবে, তবে সে পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
মোঃ নাজমুল হোসেন পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :