পবিত্র ঈদ উল ফিতর আসন্ন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হতে পারে। এবারের ঈদে দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। দীর্ঘ ছুটির কারণে এ ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সংখ্যার বেশি হবে। সবার ঈদ যাত্রা নিরাপদ রাখতে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে একগুচ্ছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে কারো ঈদ আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর পক্ষ থেকেও বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিবহন মালিক শ্রমিক যাত্রী ও পথচারীদের চলাচলে অনেকগুলো নির্দেশনা জারি করেছে ডিএমপি। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রায় বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার।
নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময়ই দায়িত্ব পালন করে। ঈদের সময় বাড়তি পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। যাত্রা পথে কোনো সমস্যায় পড়লে জরুরি সেবা গ্রহণের সুবিধার্থে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে সারাক্ষণ। কিন্তু আমাদেরকে শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করলে চলবে না। নিজেদেরও সচেতন এবং সতর্ক থেকে পথ চলতে হবে।
সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যেসব নির্দেশনা জারি করেছে তা পালনের পাশাপাশি প্রত্যোক নাগরিককে সচেতনভাবে ভ্রমণ করতে হবে। কারণ, যাত্রা পথে সব সময়ই কিছু অসাধু লোক অপকর্মের সুযোগ খোঁজে। এরা সুযোগ পেলেই অনিষ্ট করার অপচেষ্টা করবে। ফলে নিজেরা সচেতর থাকার বিকল্প নেই।
আমরা সবাই জানি, দেশের জনগণের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা খুবই কম। এ কারণে সব নাগরিককে একই সঙ্গে নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগ অনেকটাই কম। ফলে নিজেরা বেশি সচেতন থাকতে হবে। পথ চলায় প্রতিযোগিতায় না গিয়ে ধীরে চলতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে জীবন একটাই, সেই পুরনো সংলাপটি মনে রাখতে হবে, ‘সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি’।
এবারের ঈদ যাত্রা নিরাপদ হোক। নিরাপদ যাত্রায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা চালকদের। চলাকরা ঈদের সময় বাড়তি ইনকামের লক্ষ্যে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করেন। ধারণ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারায় গণপরিবহন। এতে অনেক বেশি ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার রাস্তা ফাঁকা থাকলে বেপরোয়া গাড়ি চলান চালকরা। এক্ষেত্রেও ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার অনেক চালক বিশ্রাম না নিয়ে টানা ডিউটি করেন, ফলে নির্ঘুম থাকা ওই চালক যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত হতে পারে।
এসব বিষয় বিবেচনায় রেেেখ পথ চলতে হবে সকলকে। তাহলে ঈদ যাত্রায় কোনো দুঃসংবাদ থাকবে না, শুধু থাকবে খুশি বা আনন্দ।