৬ দিন যাবৎ গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

New-Project-2025-03-08T132636.700.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসরায়েলের বাধায় টানা ছয় দিন যাবৎ কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা ঢোকেনি গাজায়। এতে খাদ্য সংকটে হাহাকার হয়ে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে। খাদ্য বিতরণ করা সংস্থাগুলোর নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে ভিড় করছে ক্ষুধার্ত শিশুসহ অন্যরাও। বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় বরাদ্দকৃত শত শত মিলিয়ন ডলারের সহায়তা তহবিল স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধ পরবর্তী গাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিশর ও আবর বিশ্বের নেতারা যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, তা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে না।

গত সোমবার  (৩মার্চ ) কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি সম্মেলনে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বিকল্প পরিকল্পনা উপস্থাপন করে মিশর। সেই পরিকল্পনা আরব দেশের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা পুনর্গঠনে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের প্রস্তাবে ছিল, গাজার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে পাঠিয়ে গাজায় উপকূলীয় পর্যটন শহর গড়ে তোলা হবে।

তাঁর এই প্রস্তাবে আরব দেশগুলো আপত্তি জানায় এবং বিকল্প একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে মিলিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্ব নেতারাও  ট্রাম্পের প্রস্তাবের নিন্দা জানান। এমনকি জাতিসংঘও এই প্রস্তাবকে জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য বলে অভিহিত করে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও মিশরের দেওয়া প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত না করে উপত্যকাটিকে পুনর্গঠনের এমন একটি প্রস্তাব দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও আহ্বান জানান।

মিশরের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও। সংগঠনটি বলেছে, ‘ফিলিস্তিনের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন জানাই এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাই।’ এর পরই মূলত গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজা যুদ্ধে গত ১৭ মাসে ৪৮ হাজার ৪৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১১ হাজারের বেশি।

এ পরিস্থিতিতে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের প্রতিরোধ বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। তবে গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার জন্য মিসর ও আরব নেতাদের দেওয়া প্রস্তাবকে ‘অপর্যাপ্ত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যুদ্ধে ৪৮ হাজার ৪৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি। হাজারের বেশি।

Leave a Reply

scroll to top