সুন্দরবনে গুলিশখালীর আগুনও নিয়ন্ত্রণে

Bagerhat.-Sundarban-Fire-Photo-4-24.-03.-2025-1.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

 

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের তেইশের ছিলায় লাগা আগুনও পুরো নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তারপরও সতর্কতার জন্য সোমবার সারারাত পানি ছিটানো হবে। সোমবার সন্ধা ৭টায় ঘটনাস্থল থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম।

দুদিন ধরে জ্বালা আগুনে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সোমবার সকাল থেকে আগুন নেভাতে খুলনা ও বাগেরহাটের ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে। তবে ঘটনাস্থলে থেকে পানির উৎস দূরে হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগকে। জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে কাজ করতে হয় তাদের। আরো নতুন এলাকায় যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ফায়ার লাইন কেটে দেয় বনবিভাগ ও সুন্দরবন সুরক্ষাকর্মীরা।

হতিমধ্যে দ্বীতিয় ধাপে তেইশের ছিলায় আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ। এই নিয়ে সুন্দরবনের দুটি এলাকায় আগুনের লাগার ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করল বন বিভাগ। এই কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে কলমতেজি এলাকায় চার একর এলাকাজুড়ে লাগা আগুন তিনদিন পর সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, গুলিশাখালী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির বাইশের ছিলা’র মাঝামাঝি লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে সবাই মিলে প্রাণপণ দিয়ে চেষ্টা চালিয়েছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। কোথাও ধোয়া দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে নেভাতে চেষ্টা চলছে। এই মুহূর্তে পাম্প দিয়ে পানি দেওয়া যাচ্ছে না।

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক (এডি) আবু বক্কর জামান জানান, রবিবার রাত নয়টার দিকে সুন্দবনের মরা ভোলা নদীতে পাম্প মেশিন বসানোর কাজ শেষ করে গুলিশাখালী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ‘বাইশের ছিলা’র মাঝামাঝি লাগা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়। এখানের আগুন নেভাতে খুলনা ও বাগেরহাটের ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট একযোগে কাজ করছে। পানির উৎস তিন কিলোমিটার দূরে থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।

বন অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের বন সংরক্ষক (সিএফ) ইমরান আহমেদ জানান, গুলিশাখালী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ‘বাইশের ছিলা’য় রবিরার সকালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে। এছাড়া সুন্দরবনের কলমতেজির আগুন এখন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দুটি আগুন লাগার কারন ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) দিপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

scroll to top