সীমান্তে ফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

New-Project-2025-03-01T132713.398.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আল-আমিন মিয়া (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)  রাতে এ  নির্মম ঘটনা ঘটে।

বিজিবি বলছে, প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিহত আল-আমিন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশের শূন্যরেখায় যান আল-আমিন। এ সময় বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ভারতের বিশালঘর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

শনিবার সকালে আল-আমিনের মৃত্যুর বিষয়টি বিজিবিকে জানিয়েছে বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের আহত হওয়ার খবর রাতে দিয়েছিল বিএসএফ।

সকালে ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি জানায় তারা। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য পতাকা বৈঠক করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ থেকে সময় পাওয়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ আনা হবে।

তবে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের ও বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ঘটনাটি তারা নিহতের স্বজনদের মাধ্যমে জেনেছেন বলেও জানান তিনি।

এর একটা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নইলে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুটিয়া সীমান্তের ওপারে কয়েক বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়ে বিএসএফ। এতে আহত হন আল-আমীন।

পরে তাকে উদ্ধার করে ত্রিপুরার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের মরদেহ বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফ সদস্যরা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক জনপ্রতিনিধি। তবে এ ব্যাপারে বিজিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

scroll to top