লাখো রোহিঙ্গার ইফতার আয়োজনে পদদলিত হয়ে একজনের মৃত্যু

New-Project-2025-03-15T115724.427.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের উখিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে লাখো রোহিঙ্গার ইফতার অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলের দিকে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হ্যালিপ্যাড এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত নেয়ামত উল্লাহ (৫৫) ৪ নম্বর ক্যাম্পের মৃত সবি মিয়ার ছেলে।

আহতরা হলেন, একই ক্যাম্পের আসাদ উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ এবং বসির আহমেদের ছেলে কলিম উল্লাহ। আসমত উল্লাহকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অংশগ্রহণে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পাহাড়ের ঢাল থেকে হঠাৎ পড়ে পদদলিত হয়ে ৩ জন আহত হন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নেয়ামত উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাহেদুল হাসান আহতদের বরাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “তারা (আহতরা) বলছেন গরম ছিল, তার ওপর রোজা, অনেক হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাদের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।”

 

শরণার্থী শিবিরের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিরাজ আমীন  গণমাধ্যমকে বলেন, “দুপুরের দিকে গরম ছিল অনেক। বয়স্ক হওয়াতে পাহাড়ের ঢালুতে উঠতে গিয়ে তিনি পদদলিত হন। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় একটি এনজিওর পরিচালনাধীন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।”

উল্লেখ্য,   ২০১৭ সালে রাখাইনে ঘটে যাওয়া এবং আশ্রিত জীবনে চলতে থাকা কষ্টে ভারাক্রান্ত রোহিঙ্গাদের মন। কিন্তু সেই বেদনার্ত মন আনন্দ উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছে জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ইফতার আয়োজনে। আশ্রয় ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুতদের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব হাসিমুখে ইফতারে যোগ দিয়ে যেন প্রমাণ করেছেন, রোহিঙ্গারাও বিশ্ব অধিবাসী। এমনটিই ভাবছেন রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতারা।

রোহিঙ্গা নেতা ডা. যোবায়ের বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে এসেছেন।  তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির সঙ্গে জীবনমান নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। আমরা সেখানে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গাদের খাবারের বিল কমানোসহ টেকসই প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছি। তিনিও আমাদের শিক্ষার্থী ও কমিউনিটি নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন।

Leave a Reply

scroll to top