রুপির দরে রেকর্ড পতন!

New-Project-38.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের উপর ট্রাম্পের শুল্ক বিস্তৃতির সিদ্ধান্তের পর বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে  সোমবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপি ৬৭ পয়সা কমে রেকর্ড সর্বনিম্ন ৮৭.২৯-এ পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকোকে ২৫ শতাংশ ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাতেই রেকর্ড পতন হয়েছে ভারতীয় রুপিতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, তেল আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের অবারিত চাহিদা এবং আমেরিকান মুদ্রার বিস্তৃত শক্তির কারণে রুপির চাপ অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার, আমেরিকান মুদ্রার বিপরীতে ৮৬ দশমিক ৬২ তে স্থির হয়েছে রুপি।

সিআর ফরেক্স উপদেষ্টা এমডি অমিত পাবারী বলেছেন, “সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা অনুযায়ী মেক্সিকো, কানাডা এবং চীন থেকে আমদানির উপর শুল্ক আরোপ করায় আর্থিক বাজারগুলি এখন খাদের কিনারায়।”

পাবারী জানান, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ট্রাম্পের নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য যুদ্ধ ঝুঁকির আগুনে ঘি পড়ছে। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের কারণে, কানাডা, মেক্সিকো ও চীন পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এসব পদক্ষেপ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দাভাব ও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

এদিকে, ছয়টি মুদ্রার ঝুড়ির বিপরীতে গ্রিনব্যাকের শক্তির পরিমাপ করা ডলার সূচক ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি ট্রেড করে ১০৯ দশমিক সাতাত্তরে অবস্থান করছে।

ইউরো ১ দশমিক ০২২৪ এবং ইয়েন ১৫৫ দশমিক ৫৪ এ নেমে যাওয়ায় ট্রাম্পের শুল্কের উপর মার্কিন ডলার বেড়েছে এবং বিশ্বব্যাপী এফএক্সকে বহু-বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে দাড় করিয়েছে। মার্কিন ডলার সূচক বেড়েছে ১০৯ দশমিক ৭৭ যেখানে ১০ বছরে যক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল ৪ দশমিক ৪৯৮০ শতাংশে ছিল।

২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় চীনের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেন। জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া বাণিজ্য টানাপোড়েন তখন বাণিজ্যযুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি পায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন এ দেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য খাত বাড়তি ক্রয়াদেশ বা অর্ডার পেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে গন্তব্যের একটি হতে পারে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

scroll to top