আসন্ন রমজানে ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুত করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে সেই খাদ্য যায় না। গুদামে পড়ে থাকে, লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনোভাবেই করা না হয়। রোজার সময় আমরা এটি এনসিওর (নিশ্চিত) করব। আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয়, সেটি আমরা নিশ্চিত করব।’
সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজারে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের স্থানীয়ভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে অনেক দীর্ঘ মিটিং হয়েছে, অনেকগুলো এজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সারের গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তার বিষয় রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’
রমজানের আগেই মজুতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে তারা আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করবে বলে ধারণা করা যায়।
হঠাৎ করে ধানের দাম বাড়ানোর অজুহাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য এটা করে। যারা এটা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার কঠোর অবস্থান নেয়া হবে।
দেশের প্রকৃত খাদ্য পরিস্থিতিটা এখন কেমন ? এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা যা বলেন, ‘এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। এখন অন্য পণ্যে দাম বাড়বে-কমবে। আমি বলেছি একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে, সেখানে একটা কমবে একটা বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন দাম মোটামুটি সহনীয়।
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান চলে আসছে, আমরা বাজার মনিটরিং আরও বাড়াবো। সেটি ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। আমিও তাদের বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করার জন্য। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয়।’