মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার দাবিতে সমাবেশ

ববপ.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন শ্রমিকরা।

ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে র‍্যালি বের করেন অসংখ্য নারী শ্রমিকরা। সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ৬ মাস, পোশাক খাতের জন্য ৪ মাস। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে ছুটির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস সবার জন্য একই হোক।

তারা বলেন, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে শ্রমিকের সংজ্ঞা সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয় না। নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার আইন সংশোধনের দাবি জানান শ্রমিকরা। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে শ্রম ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের শ্রম আইন সংশোধনের একটি মূল দিক হলো ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও কার্যক্রমের সহজিকরণ। শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সম্মিলিত দর কষাকষির ওপর গুরুত্বারোপ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে আরো সহজ এবং স্বচ্ছ করার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনী বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যদের গোপনীয়তা বজায় রাখার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া শ্রম সংক্রান্ত মামলা জট কমাতে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’কে কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অন্যান্য মামলাসমূহ পরীক্ষা নিরীক্ষান্তে নিষ্পত্তির কার্যক্রম চলমান আছে।

Leave a Reply

scroll to top