বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক সম্পদের অধিকারী বঙ্গোপসাগর । এ অবস্থায় সাগরে কী পরিমাণ মাছের মজুদ আছে, তা নিরূপণের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী মাসে। এরই মধ্যে ‘আর ভি অনুসন্ধানী’ নামের একটি জরিপ জাহাজ আমদানি করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে বঙ্গোপসাগরের মাছের জরিপ করা হয়। এরপর ২৯ বছরেও আর কোনো জরিপই হয়নি। ফলে সাগরে কী পরিমাণ মাছ মজুদ আছে, তা জানা নেই। দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনার পর বর্তমান সরকার পুনরায় মাছের মজুদ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
কোনো নিয়মকানুন না মেনেই নির্বিচারে মাছ শিকার চলছে বঙ্গোপসাগরে। সমুদ্রের কতটুকু সীমানায়, কতটি ট্রলার, কী পরিমাণ মাছ ধরতে পারবে, সে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। বাড়ছে ট্রলারের সংখ্যাও। এসব ট্রলার নিজেদের ইচ্ছামতো ঢুকে যাচ্ছে যেকোনো সীমানায়। সেইসঙ্গে বাড়ছে ক্ষতিকর জালের ব্যবহার।
সরকারের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র এবং চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য থেকে সামুদ্রিক মাছের এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তবু ধারণা করা হচ্ছে, গত বছর ট্রলার দিয়ে আহরিত মাছের সংখ্যা ১ লাখ টন ছাড়িয়েছে। এভাবে মাছ শিকার হতে থাকলে সামুদ্রিক মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক ৫৬ বাংলাদেশি জেলে। ১৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে জেলেরা ফেরত আসেন।
জানা গেছে, বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে ৬টি ট্রলারে ৫৬ জেলে বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ ধরছিলেন। এসময় জেলেরা ভুলবশত বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের জলসীমানার দিকে চলে যান। পরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটকের ১৫ ঘণ্টা পর জেলেদের ছেড়ে দিলে সকালে তারা টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে এসে পৌঁছান। তবে ট্রলারে থাকা মাছগুলো মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা রেখে দিয়েছেন।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ দিকে মিয়ানমার জলসীমায় বঙ্গোপসাগর থেকে ৬ ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে দেশটির নৌবাহিনীর সদস্যরা আটক করে। বৃহস্পতিবার সকালে তারা শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে ফেরত আসেন। মিয়ানমার নৌবাহিনী জেলেদের ১৫ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল। ট্রলারে থাকা মাছগুলো তারা রেখে দেয়।