নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতাকর্মীদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অফিসের শাটার বন্ধ করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারীসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সরকার, সদস্য রাবেয়া আক্তার, বাবু, মাসুদ, ফারহান, সঞ্জিদ, রামিমসহ অন্তত ১০ জন।
যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মাসুদুর রহমান নামে এক যুবক জানান, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি জানি না আমার নিরাপত্তা কেমন থাকবে। তারা আমাদেরকে অফিসের ভেতর ছাত্রলীগের মতো আমাদের পিটাইছে।
সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান হোসেন।
এর আগে, এদিন দুপুরে যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ৩০-৩৫ জনের একদল যুবক অফিসের শাটার বন্ধ করে এর সামনে অবস্থান নিয়ে হট্টগোল করেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য নাঈম আবেদীন শাটার বন্ধে বাধা দিলে তার ওপর হামলা করে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে ৪টার দিকে সমন্বয়কদের একটি অংশ হামলাকারীদের তাদের অফিসের ভেতরে নিয়ে মারধর করেন।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সমন্বয়ক রিফাদ রশীদ বলেন, আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। যাত্রাবাড়ীর একটা গ্রুপ এসে এখানে ঝামেলা করছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের একটা গ্রুপ এই কাজ করেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বাংলামোটর থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের সবার চিকিৎসা চলছে।