যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এলোপাতাড়ি বন্দুক হামলায় দুজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারের (১৭ এপ্রিল) হামলায় এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে জড়িত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
পুলিশের বিশ্বাস, বন্দুকধারী সেই ব্যক্তি লিওন কাউন্টি শেরিফের ডেপুটির ছেলে। তবে কি কারণে গুলি ছুঁড়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সন্দেহভাজন তার মায়ের অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে লিওন কাউন্টির শেরিফ ওয়ালটের ম্যাকনেইল বলেন, ‘দুভাগ্যবশত ওই ছেলে তার মায়ের অস্ত্রটি পেয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে সেই অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় শেরিফের কার্যালয়ে যুব পরামর্শ পরিষদের একজন নিয়মিত সদস্য ছিলেন হামলাকারী ব্যক্তি।
হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা অবগত করলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তাকে ব্রিফ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার বাস্তবতা দেখে আগ্নেয়াস্ত্র আইনে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে কিনা, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, এসব এলোপাতাড়ি হামলা ন্যাক্কারজনক এবং ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। তিনি এই আইনের একনিষ্ঠ সমর্থক এবং আইনটি রক্ষায় তিনি নিজেও চেষ্টা করেছেন।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডেস্যান্টিস নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ভুক্তভোগীদের পরিবারের জন্য আমরা প্রার্থনা করছি। তবে জেনে রাখবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী তাদের দায়িত্ব পালনে তৎপর।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক নিয়মিত আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের হামলাটি ছিল ১১ বছরের মধ্যে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে দ্বিতীয়বারে মতো গোলাগুলির ঘটনা। ২০১৪ সালে, এক সাবেক শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে গুলি চালিয়ে দুই ছাত্র এবং এক কর্মচারীকে আহত করেছিল।
কর্তৃপক্ষ বলছে, গুলি ছোঁড়ার পরপরই ওই বন্দুকধারীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে আহতদেরসহ ওই বন্দুকধারীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ফ্লোরিডা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন ভবনের পাশেই এ গোলাগুলি হয়। এরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরপাদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। গোলাগুলি সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাসে ৪২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।