পিরোজপুরে সিভিল সার্জনসহ জেলা হাসপাতালের ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

New-Project-2025-02-22T202206.862.jpg

পিরোজপুরে সিভিল সার্জনসহ জেলা হাসপাতালের ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের জেলা হাসপাতালে পৌনে দুই কোটি টাকার ওষুধ ও এমএসআর (চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সামগ্রী) সামগ্রীর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালের ৪ জন চিকিৎসক, স্টোর কিপার এবং ওষুধ সরবরাহকারীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ শেখ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শনিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদক।

মামলার আসামিরা হলেন-

  • হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও অএ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো: মিজানুর রহমান
  • হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট (গাইনী) ও সার্ভে কমিটির সভাপতি ডা. ফরাহানা রহমান
  • আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো: নিজাম উদ্দিন
  • জুনিয়র কন্সালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সুরঞ্জিত কুমার সাহা
  • হাসপাতালের স্টোরকিপার মো: আল আমীন গাজী
  • ওষুধ সরবরাহকারি এস এম সামসুল আরেফীন (নাজিরপুর)
  • ওষুধ সরবরাহকারি মো. হানিফুল ইসলাম (ঢাকা)
  • ওষুধ সরবরাহকারি মো: জহিরুল ইসলাম( যশোর)
  • ওষুধ সরবরাহকারি মো. রাশেদুজ্জামান এরশাদ (গোপালগঞ্জ)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওষুধ ও এমএসআর সরবরাহকারী চারটি প্রতিষ্ঠান পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের অনুকূলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওষুধ ও এমএসআর (চিকিৎসা ও শল্যচিকিৎসাসামগ্রী) সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিল। এসব সরবরাহের কার্যাদেশপ্রাপ্ত চারটি প্রতিষ্ঠান এবং সরবরাহের অনুকূলে হাসপাতালের সার্ভে কমিটির সভাপতিসহ দুই সদস্য ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৭ টাকার ওষুধ ও এমএসআর বুঝে নিয়ে ওই অর্থ পরিশোধ করেন।

গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের অভিযান চালানোর সময় হাসপাতালের স্টক রেজিস্ট্রার এবং ওষুধ ও এমএসআর-সামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করা হয়। এতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরবরাহ করা ওই ওষুধ ও এমএসআর স্টক রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করা থাকলেও তা স্টোরে পাওয়া যায়নি। দুদকের অভিযানে এ তথ্য প্রাপ্তির পর ২ ফেব্রুয়ারি এসবের ঘাটতি পূরণের জন্য আসামিরা একটি ট্রাকে ওষুধ এনে তা স্টোরে মজুতের অপচেষ্টা করেন। দুদক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ট্রাকসহ ওই ওষুধ জব্দ করে। দুদক জানায়, এসব অপরাধের অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি দায়ের করে বলে মামলার বিবরণে জানা যায়।

মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, পরবর্তী তদন্তকালে এজাহারে বর্ণিত অপরাধের সাথে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে রুজুকৃত মামলায় তাদের আসামী করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান জানান, মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। মামলার তদন্তে আসল বিষয় উঠে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

scroll to top