পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ১টি বাড়িতে শিশুদের খাবার তৈরীর কারখানা বানিয়ে বিভিন্ন রং ও কেমিক্যাল দিয়ে অনুমোদনবিহীন মোড়কে পণ্য তৈরি করে ডিলারশীপের মাধ্যমে বিক্রি করার অপরাধে নামবিহীন ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও ২ জনকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রামান্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৯মার্চ) দুপুরে নাজিরপুরের শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের শ্রীরামকাঠি বন্দর বাজারের পাশের ১টি বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানার ব্যাপারে অনুসন্ধান চালায় পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশ সত্যতা পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসন তাদের টিম নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি।
এ সময় নামবিহীন ওই কারখানাটি সিলগালা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং মো. মিরাজ হাওলাদার (৩৫) ও তার ভাই মো. রাব্বি হাওলাদার (২২) নামের দুই মালিককে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। আটককৃতরা একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী গ্রামের মো. জয়নাল হাওলাদারের ছেলে।
অভিযান পরিচালনা করার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি জানান,নামবিহীন ঐ কারখানায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ও নিষিদ্ধ রং দিয়ে শিশুদের জন্য খাবার তৈরি করছে যা মানব দেহে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। শিশুরা এ সকল বিষাক্ত খাবার খেলে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি সহ মারাত্মক স্বাস্থ্য হীনতার সম্মুখীন হবে। অনুমোদনহীন ঐ কারখানা কে ভেজাল খাবার তৈরির দ্বায়ে ২ জনকে আটক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ ধরনের ভেজাল বিরোধী কার্যক্রম চলমান থাকবে।
অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা মশিউর রহমান,সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ,জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায়সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ।