গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হয় মূলত সংস্কারের উদ্দেশ্যে। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকারকে সংস্কারে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে সকল রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সংস্কার এগিয়েছে কিনা সেটা নিয়ে মাথা ব্যথা না থাকলেও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির একমাত্র দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে অন্তবর্তী সরকার নিরপেক্ষ থাকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা তো আসলে চাই নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব হোক। ছোট যে সংস্কার গুলো আছে সেগুলো করেই দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হোক এমনটাই আমরা চাই।’
আপনারা কি (নির্বাচনের জন্য) নির্ধারিত কোন সময়ের কথা ভাবছন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা নির্ধারিত সময়ের কথা বললেই তো হয় না এটা সরকারকে চাইতে হবে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও চাইতে হবে। তবে আমাদের মনে হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন বা জুলাই আগস্টের মধ্যে নির্বাচনটি অসম্ভব কিছুই নয় এটি সম্ভব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন কনডাক্ট করা পর্যন্ত থাকবেন। তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।
এই সরকারের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কি না? এই বিষয়ে কি ধারণা রাখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেছেন, নিরপেক্ষতার প্রশ্ন আসতে পারে। কেননা, এখানে আমরা জিনিসটা লক্ষ্য করছি যে, আপনার ছাত্ররা তারা একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করার কথা চিন্তা করছেন। সেখানে যদি ছাত্রদের প্রতিনিধি এই সরকারে থাকে, তাহলে তো নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না। ওইটা হচ্ছে, সম্ভাব্য কথা। কিন্তু যদি তারা মনে করে যে, (সরকারে) থেকেই তারা নির্বাচন করবেন, তাহলে তো রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে না।