নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মুসাব্বির সানির মুক্তির দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন

New-Project-38.jpg
পিরোজপুর প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মুসাব্বির মাহমুদ সানির মুক্তির দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় নাগরিক কমিটি ও স্থানীয়রা। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে পিরোজপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় সানির মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ফাতেমা ইসলাম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও গঠনমূলক কাজের সাথে সানিকে জড়িত থাকতে দেখেছি, আন্দোলনের পর সেই আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারা ভোগ করছেন। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে, আমরা তার মুক্তির দাবি জানাই।

স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন,সানি অত্যন্ত ভালো ছেলে হিসেবে এলাকায় পরিচিত, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দেওয়া হয়েছে,আমরা তার মুক্তির দাবি জানাই।

সানির মা বলেন, তার ছেলে কোন চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিল না, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে ছিল বলে তার নামে হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

সানির স্ত্রী নাইমা জানান, সানির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, সে পিরোজপুরে আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে, বর্তমানেও করে যাচ্ছিল এমনকি ৪ আগস্ট সানিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়, ৫আগস্ট সানি আন্দোলন কারীদের সাথে নিয়ে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পিরোজপুর শহীদ মিনারে অবস্থান করেছিল,যাতে কেউ আন্দোলনকারীদের মব জাস্টিসের নামে দোষারোপ করতে না পারে,সে রাতে মোমবাতি হাতে আনন্দ মিছিল হয় আমিও সাথে ছিলাম। এরপর আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সানি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ, স্কুলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে।

 

আন্দোলনের এতগুলো মাস পরে ও সরকারের পুনর্বাসন চলছে, তখন সে আবার আওয়াজ তুলে ফেসবুকে লেখা লিখি করে,এই আওয়াজ তোলাই তার জন্য কাল হয়ে যায় বলে জানান সানির স্ত্রী। এছাড়া সানির ছোট ভাই, মামা ও দুলাভাইয়ের নামেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে,যারা সানির পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করে তাদেরকে পরোক্ষভাবে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি। এখন সানির জন্য আমি এবং আমার শাশুড়ি আইনি লড়াই করছি। একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী হয়েও আমাকে আদালতে আসতে হচ্ছে, এটা আমার জন্য অনেক কষ্টদায়ক।

উল্লেখ্য যে, পিরোজপুর মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর,লুটপাট মামলায় সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় নাগরিক কমিটির সদর উপজেলা কমিটির ১নং সদস্য ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক জেলা সমন্বয়ক মুসাব্বির মাহমুদ সানিকে গ্রেফতার করা হয়, ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পিরোজপুর সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেকের।চলতি বছরের মার্চ মাসে পিরোজপুর শহরের শহীদ ওমর ফারুক সড়কের নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের নির্মিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কার্যালয়ের এ ঘটনায় সানিসহ ০৩জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম।

Leave a Reply

scroll to top