প্লে অফ খেলতে হয়ে জয়ের বিকল্প ছিল না খুলনা টাইগার্সের। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে রীতিমত বোলারদের জম হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন নাইম শেখ। এই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে চাপা পড়েছে রংপুর রাইডার্স।
অবশ্য চিটাগাং সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তাদের বাকি আছে আরো ২ ম্যাচ। দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেও হিসেব ছাড়াই সেরা চার নিশ্চিত হবে তাদের এমনকি ৩ এ থাকার সুযোগ আছে দলটির। এছাড়া দুই ম্যাচের দুটিতেই হারলেও প্লে অফের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদল গুলোর দিকে।কারণ তারা ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ শেষ করেছেন।
আজ (৩০ জানুয়ারি) মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের বিশাল সংগ্রহ দার করায খুলনা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ বলে অপরাজিত ১১১ রান করেছেন নাইম শেখ। জবাবে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ ভুগেতে থাকে রংপুর। ৩৬ রান তুলতেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় তারা। এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। তবে ১৫ বলে ১৯ রান করতে পারেন এই ব্যাটার।
এর ক্রিজে আসা শেখ মেহেদী ১৪ বলে করেছেন ২৭ রান। এক প্রান্তে ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলেও আরেক প্রান্তে দুর্দান্ত ছিলেন সৌম্য সরকার। ৪৮ বলে ৭৪ রান করেছেন তিনি।
শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন-রাকিবুল হাসানরা চেষ্টা করেছেন, তবে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেননি কেউ। সাইফউদ্দিনের ১০ বলে ১৮ আর রাকিবুলের ৬ বলে ১৪ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা ছিল।
এর আগে খুলনার হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ১২ বলে ২১ রান করে ফিরে যান মেহেদি হাসান মিরাজ ।
তিনে নামা অ্যালেক্স রস ১৪ বল খেলে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে তার বিদায়ের পর টাইগার্সদের রানের চাকা সচল করেন উইলিয়াম বসিস্তো ও নাইম। বসিস্তো ২১ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে যান। মাত্র ৫৫ বলে শতকের দেখা পান নাইম।শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন নাইম শেখ।
আর শেষদিকে উইকেটে সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেছেন ১৫ বলে করেছেন ২৯ রান এক ঝরো ইনিংস।